তোমার ঋণের দায় অপরিশোধিত।
অথচ তোমার মুখের হাসি আদৌ জীবিত।
তোমার এই সুখের রহস্য কী?
হে ; মুটে কুলি, কৃষক,কামার, কুমোর।
বলবে না? থাক তোমায় বলতে হবে না।
ঋণের দায়ে আমাকে দায়ী করে রেখো আজন্ম।
তোমার ক্ষমা না পেলে আত্মা শান্তি পাচ্ছে না।
রীতিমত আমার অ্যার্ট্রিয়াম,ভেন্ট্রিকলে ঝড় উঠে।
অথচ হাত জোড় করতে পারিনি তোমার কাছে।
কেন জানো?
আমার সমাজে আমি সম্মানিত বলে!
অথচ তোমার রক্ত ঘামে গড়া
আমার ;”কসমস হাউস “।
তবুও অবহেলার পাত্র তুমি।
আমাকে ক্ষমা করো না ;
হে, কসমস হাউসের কারিগর।
অ্যার্ট্রিয়াম,ভেন্ট্রিকল কেন আরবিসি, নিউক্লিয়াস ও
জানুক আমার অপরাধ, শোষণের খবর।
আমার পাষাণ হৃদয়ে হয়তো কান্নার রোল উঠবে,
যেদিন বাইফোকাল লেন্স পরিহিত থাকবো।
ঠিক সেদিনই অবহেলিত হবো হয়তোবা!
সেদিন তোমার প্রতি আমার
অবহেলা আমাকে আবারো কু্ঁকড়ে খাবে।
তবুও হে কারিগর আমায় ক্ষমা করো না।