দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় যে কোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে আমাদের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের শীতকালীন অনুশীলন শেষে দরবারে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।সৈনিকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, মনে রাখবেন জনগণই দেশের শক্তি, আপনারা জনগণেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের সবার দায়িত্ব সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন কাজ করা। তাই জনগণের আস্থা অর্জন অত্যন্ত জরুরি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মহড়া ৫৫ পদাতিক ডিভিশন তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করছে। সেনাবাহিনী পেশাগত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দেশ ও জাতির প্রয়োজনে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে। গত নির্বাচনের সময় আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষ ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা করেছে।তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনী জয়ী হতে পারে, যদি তারা মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে পারে। আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্য এটা যেমন প্রয়োজন একইভাবে সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্যও প্রয়োজন।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তুলতে আমাদের সরকার বদ্ধ পরিকর। এজন্য ১৯৭৮ সালে জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছি। এটা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন এবং রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। রাজবাড়ী এবং পটুয়াখালির লেবুখালিতে সেনানিবাস স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ ও নিরাপত্তার জন্য একটি কম্পোজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সেনা প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌ বাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল এম ইনামুল বারী, যশোর পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও যশোর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মতিউর রহমান প্রমুখ।