টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার জর্জ গিফেন, ইংল্যান্ডের লিওনার্দো কার্লাইল অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার জর্জ ফল্কনারের রেকর্ড ভাঙা হয়তো সম্ভব হবে না! কারণ ওরাতো পাঁচ ম্যাচের টেস্টে সিরিজ খেলে ঐ তালিকার শীর্ষে উঠেছেন। এক সিরিজে সেরা অলরাউন্ডার নৈপুণ্যের তালিকায় সবার উপরে উঠতে পাঁচ-ছয় ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন তারা। কিন্তু সাকিবের সেই সুযোগ কোথায়।তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে কী সাকিব ওদের রেকর্ড টপকাতে পারবেন? যদি বাংলাদেশ ওদের মতো পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে তা হলে হয়তো পারবেন বিশ্বসেরা অররাউন্ডার। সত্যি বলতে ১৪ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে। তাই সেই আশা করাটা কঠিনই। তবে সুযোগ পেলে হয়তো সেরা অলরাউন্ডারদের গড়া সব রেকর্ডই পায়ে লুটাবেন তিনি।১৮৯৪-৯৫ সালে অ্যাশেজ সিরিজে অসি ক্রিকেটার জর্জ গিফেন ব্যাট হাতে এক সেঞ্চুরিসহ করেন ৪৭৫ রান। একই সঙ্গে বল হাতে তিনবার পাঁচ উইকেটসহ ৩৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত এক সিরিজে সেরা অলরাউন্ডার নৈপুণ্যের তালিকায় সর্বাধিক উইকেট ও সর্বাধিক রানের রেকর্ডটা দখল করে রেখেছেন তিনি। ইংলিশ ক্রিকেটার লিওনার্দো কার্লাইল ও অ্যাশেজে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে একটি সেঞ্চুরিসহ ২৫৬ ও উইকেট নিয়েছিলেন ২১টি।টেস্টে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার তালিকায় রয়েছেন ২২ জন ক্রিকেটার। সেই তালিকায় স্থান পেতে সাকিবকে দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ অলরাউন্ডারের ক্লাবে নাম লেখানোর যোগ্যতা ২৫০ রান ও ২০ উইকেট।দুই টেস্টে ১৬৩ রানের সঙ্গে বল হাতে ১৭ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তৃতীয় টেস্টে সাকিবের প্রয়োজন ছিলো ৮৭ রান। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে ৭১ রান করে সেকেন্দার রাজার বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। বল হাতে প্রয়োজন মাত্র দিন উইকেট। সাকিব হয়তো আজই তিন উিইকেট নিয়ে ২৫০ রান ও ২০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকার বৈশিষ্ট্য পূর্ণ করবেন। কিন্তু বাকি ১৬ রানের জন্য দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচে যে পারফরম্যান্স করেছেন সেটা তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। দুই টেস্টে যে পারফরম্যান্সে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই গ্রেট অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের পাশে নাম লিখিয়েছেন। দুই টেস্ট শেষে সাকিবের রান ১৬৩ ও ১৭ উইকেট।