সুরেশ রায়নার বিপক্ষে এলবিডব্লুর সিদ্ধান্তটি ঠিকই ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য বিপদ হয়ে ওঠা রোহিত শর্মাকে ৯০ রানেই ফেরাতে পারত বাংলাদেশ। ফেরানো উচিতই ছিল। রুবেল হোসেনের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচটা লুফে নিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু আম্পায়ার ইয়ান গৌল্ড ‘নো’ বল ডেকে বসেন। অপরাধ, কোমরের ওপরের উচ্চতায় বল ছোড়া।কিন্তু বলটা কি আসলেই কোমরের ওপরের উচ্চতায় ছিল? রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, বলটা কোমরের নিচেই থাকত। রোহিত খানিকটা নিচে নেমে খেলেছেন। বলটা তখন ছিল নিন্মমুখী। ভাষ্যকার শেন ওয়ার্ন তো বলেই বসলেন, ‘এটা নো বল ছিল না। খুবই বাজে সিদ্ধান্ত।’ ক্রিকেট বিশ্বের অনেক সাবেক তারকাও আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। টুইট করছেন। এমনকি ভারতের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণও টুইট করেছেন, ‘গৌল্ডের সিদ্ধান্তটা একদমই বাজে। বলটা নিশ্চিতভাবেই কোমরের ওপরে ছিল না। রোহিত সৌভাগ্যক্রমে আরেকটা জীবন পেল। এটাই হয়তো আরও ২০টা রান বেশি তুলে দেবে ভারতকে।’সাধারণত কোমরের ওপরের উচ্চতার সিদ্ধান্তের জন্য মূল আম্পায়ার লেগ আয়াম্পারের দারস্থ হন। কারণ লেগ আম্পায়ারই সবচেয়ে ভালো দেখতে পারেন দৃশ্যটা। কিন্তু এক্ষেত্রে লেগ আম্পায়ার আলীম দারের জন্য অপেক্ষাই করেননি গৌল্ড।খানিকক্ষণ আগে একমাত্র রিভিউটা খরচ করে ফেলায় দ্বিতীয়বার আবেদনও করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের বলি হওয়ার দুঃখ বাংলাদেশকে বয়ে বেড়াতে হয় কিনা কে জানে।এর আগে সুরেশ রায়নাও বেঁচে গেছেন। অবশ্য এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ সামান্যই। এটি না হয় আউট নয়, কিন্তু রোহিতেরটা? এটাই যদি ম্যাচের ফল নির্ধারক হয়ে দাঁড়ায়, কার কাছে ন্যায় বিচার চাইবে বাংলাদেশ?