বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

সুস্বাস্থ্য

৫ উপায়ে শরীর রাখুন বিষমুক্ত

সুস্বাস্থ্য
খাবার খাওয়ার পর তা অন্ত্রে রাসায়নিক রূপান্তরের ফলে সৃষ্টি হয় কিছু উপাদান, যা দীর্ঘকাল ধরে শরীরে থাকার জন্য পরিণত হয় বিষাক্ত উপাদানে। তবে এটা দূর করাও সম্ভব। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য শরীর বিষমুক্ত রাখা একান্ত প্রয়োজন। নিয়মিত সহজলভ্য কিছু খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীর থেকে এই বিষাক্ত উপাদানগুলো দূর করতে পারি। তিতা খাবার তিতা খাবার আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিরতার পানি অথবা করলা কিংবা নিমপাতার রসের জুড়ি নেই। লেবু লেবুতে আছে একগুচ্ছ ডিটক্স ডাইট যা টক্সিন নামক বিশেষ প্রকার জৈব, যা বিষ নির্মূলে সহায়তা করে। এছাড়া লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা দাঁত ও ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। তাছাড়া লেবুর ক্ষারীয় প্রভাব আপনার শরীরে অম্লতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। প্রতিদিন এক ফালি লেবুর সাথে গরম পানি আপনার শরীর থেকে বিষ ...

মরিচ খান আয়ু বাড়ান

সুস্বাস্থ্য
ঝাল খাবার অনেকেরই প্রিয়। তবে ঝাল সহ্য করতে পারেন না- এমন মানুষের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। গত কয়েক বছরে স্পাইসি ফুড বা ঝালজাতীয় খাবার নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, ঝাল খাবার বা মরিচ যারা বেশি খেয়েছেন তারা বেশিদিন বেঁচেছেন। ৪ লাখ, ৮৭ হাজার ৩শ ৭৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, যারা ঝাল খাবার খান না তাদের তুলনায় যারা ঝাল খাবার খান তাদের মৃত্যুঝুঁকি কমেছে প্রায় সাত বছর পর্যন্ত। হার্বাট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে তিন থেকে সাত দিন ঝাল খাবার খান তাদের মৃত্যুঝুঁকি যারা সপ্তাহের একবার খান বা একেবারেই খান না তাদের তুলনায় কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত। এখানে একটি বিষয় গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, ঝাল খাবারে উপকারিতা আসে মূলত ক্যাপসেইসিন (capsaicin) নামক উপাদান থেকে। এটি একটি সক্রিয় জৈব উপাদান যা মরিচে পাওয়া যায়। এ...
স্টিকার মারা ফল খান, ফলাফল জানেন?

স্টিকার মারা ফল খান, ফলাফল জানেন?

সুস্বাস্থ্য
সুপারমার্কেট বা কোনও ফলপট্টি থেকে আপেল, কমলা বা অন্য যে কোনও ফল কেনার সময় নিশ্চয় খেয়াল করেছেন ফলের গায়ে স্টিকার লাগানো থাকে। সাতপাঁচ না-ভেবে, খুব ভালো বলে ধরে নিয়ে অনেক সময় বেশি দাম দিয়েও কিনে ফেলেন। ফলের গায়ে সাঁটা স্টিকারে কী লেখা থাকে, ভালো করে দেখেছেন কখনও? বা যদি দেখেও থাকেন, মাথামুন্ডু কিছু বুঝেছেন কি? খবর ইন্ডিয়াটাইমসের। ১. স্টিকারে যদি দেখেন ৪ সংখ্যার কোড নম্বর রয়েছে এবং সেটা শুরু হচ্ছে ৩ বা ৪ দিয়ে, এর মানে হল, কোনও ফার্মে ওই প্রোডাক্টির চাষ হচ্ছে বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে। যার অর্থ, কৃত্রিম সারেই চাষ হয়েছে। ২. যদি কোনও ফলের গায়ে ৫ সংখ্যার কোড দেওয়া স্টিকার দেখেন, যার শুরুটা ৯ দিয়ে, অর্থ, চিরাচরিত প্রথাতেই চাষ হচ্ছে। হাজার হাজার বছর আগেও যে ভাবে চাষ হত, সে ভাবেই। মানে, কোনওরকম রাসায়নিক সার বা কীটনাশক দেওয়া হয় না। জৈবপদ্ধতিতে চাষ হয়। ৩. স্টিকারে যদি ৫ ডিজিট কোড থাক...
কোকাকোলা সাস্থের জন্য ভালো না খারাপ

কোকাকোলা সাস্থের জন্য ভালো না খারাপ

সুস্বাস্থ্য
চড়া রোদ, গরমে দীর্ঘ পথ হেঁটে এসে ক্লান্ত। তেষ্টা মেটাতে এক বোতল ঠান্ডা কোকাকোলা গলায় ঢেলে দিয়ে স্বস্তির উদগার। এই সাময়িক আরামই আপনার জীবনে যে কী মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে, তা শুনলে চমকে যেতে হয়। সম্প্রতি কোকাকোলার বিষক্রিয়া সম্পর্কে ভারতীয় বিজ্ঞানী নীরজ নায়েকের গবেষণার প্রতিবেদন বলছে, কোকাকোলার একটি ক্যান ৬০ মিনিটের মধ্যে হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্কসহ গোটা শরীরে শুধু বিষ ছড়িয়ে দেয় পর্যায়ক্রমে। একটি ব্লগে নীরজ নায়েক বলেন, এক বোতল কোকাকোলায় ১০ চা চামচ চিনি দেওয়া থাকে। মানুষের শরীর প্রতিদিন যতটা চিনি গ্রহণ করতে পারে, তার ১০০ গুন বেশি। এই পরিমাণ চিনি একবারে খেলে বমি অনিবার্য। কিন্তু কোকাকোলা খেলে তা হয় না। তার কারণ, কোকে থাকা অতিমাত্রায় ফসফেরিক অ্যাসিড। প্রথম ১০ মিনিটেই শরীরে ১০ চা চামচ চিনি ঢুকছে। পরের ২০ মিনিটে রক্তে শর্করার মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে অতিমাত্রায় ইনসুলিন তৈরি হতে থাকে। লিভার ওই ব...

ছোট্ট উপায়ে অ্যালার্জিকে চির বিদায়

সুস্বাস্থ্য
শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষায় অ্যালার্জির সমস্যা পোহাতে হয় বিভিন্ন কারণে। শরীরে চুলকানি, ব্রণ, ফোড়া, সর্দির সমস্যা, হাঁপানিসহ নানা ধরনের রোগবালাই ডেকে আনে এই অ্যালার্জি। যারা এর ভুক্তভুগী কেবল তারা এলার্জির ভয়ংকর উপদ্রব সম্পর্কে জানে। তবে বর্তমানে এর সংখ্যাও অনেক বেশি। সেই অ্যালার্জি উপশমে কত প্রচেষ্টায় না ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু এবার একটি ছোট্ট উপায়ে অ্যালার্জিকে জানান চির বিদায়। - এক কেজি নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকানোর সময় কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন যাতে তাপ লাগে বেশি আবার ধুলা না পড়ে। - শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে মিহি গুঁড়ো করে ভালো একটি কৌটায় ভরে রাখুন। - এবার ১ চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুঁড়া, এক চা চামচ ভুষি, সামান্য মিছরি একগ্লাস পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। - প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে নিন একগ্লা...
চোখের সুস্থতায় ১৮টি করণীয় কাজ,জেনে রাখুন

চোখের সুস্থতায় ১৮টি করণীয় কাজ,জেনে রাখুন

সুস্বাস্থ্য
খবরিকা ডেস্ক : ১. প্রথমেই খাবারের কথা বলতে হয়। খাদ্য তালিকায় প্রচুর মাছ রাখুন। এতে প্রচুর ওমেগা-৩ রয়েছে। ২. চোখের সমস্যা নিয়মিত হলে নিয়মিত বিশেষজ্ঞের কাছে চোখ দেখান। ৩. মাঝে মাঝে চোখ পিটপিট করা চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখুন। প্রতি তিন-চার সেকেন্ডে একবার চোখের পাতা বন্ধ ও খোলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ৪. চোখকে আরাম দিন। যেমন দুই হাতের তালু ঘষে তাপ উৎপন্ন করে তা দুই চোখে ধরুন। এতে চোখ জ্বলা কমে যাবে এবং আরাম বোধ করবেন। ৫. আমরা সাধারণত কাছের বস্তুতে দৃষ্টি দিতে অভ্যস্ত। দূরে দৃষ্টি দিন। হাঁটতে বা বসে দূরে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করুন। ৬. সূর্যের আলো চোখের ফ্রি চিকিৎসা দেয়। তবে প্রখর রোদ নয়। খুব সকালের এবং শেষ বিকেলের আলো চোখের যত্ন নেয়। ৭. অনেকে চোখে ঝাপসা দেখেন। পানির ঝাপটা নিয়ে এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। শুষ্ক অবস্থার কারণে সাধারণত এমনটা ঘটে। ৮. আর্দ...
চা-পান সম্পর্কিত ৭টি ভুল ধারণা ও প্রকৃত সত্য

চা-পান সম্পর্কিত ৭টি ভুল ধারণা ও প্রকৃত সত্য

সুস্বাস্থ্য
প্রাচীন পানীয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চা। চীনের চিকিত্‍সাশাস্ত্রে চা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীতে তা ধীরে ধীরে গণমানুষের পানীয়তে পরিণত হয়। জাপানে উদযাপিত হতো চা পান উত্‍সব। সকালের আড়মোড়া ভেঙে এক কাপ চা দিয়েই শুরু হয় অনেকের দিন। ক্লান্তি দূর করা থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়ন - সবকিছুতেই চায়ের সমান সমাদর। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকলেও চা পান করা নিয়ে প্রচলিত রয়েছে বেশ কিছু ভুল ধারণা। জেনে নিন এমনই সাতটি ভুল ধারণা এবং প্রকৃত সত্য সম্পর্কে। ১. দুধ ও চিনি মেশালে চায়ের গুণাগুণ নষ্ট হয় পলিফেনল পরিবারের কিছু উদ্ভিজ্জ উপাদানকে ফ্লেভনয়েড বলা হয়। এরা ঠিক পুষ্টি উপাদান নয়, কিন্তু এদের কিছু বিশেষ গুণ থাকার কারণে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিবেচনা করা হয়। যেমন জ্বালাপোড়া কমানো, ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা, ভাসকুলার ফাংশন ঠিক রাখা, এলডিএল কোলেস্টেরলের...
শীতের অ্যালার্জি থেকে সুরক্ষার উপায়

শীতের অ্যালার্জি থেকে সুরক্ষার উপায়

বিশেষখবর, সুস্বাস্থ্য
সাধারণত বসন্ত এবং হেমন্তের দিকে ঋতু পরিবর্তনের কারণেই অ্যালার্জির প্রকোপ বেশি হয়, কিন্তু তারপরেও শীতের সময়ে অ্যালার্জি নিয়ে থাকতে হবে সতর্ক। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় কিছু অ্যালার্জির সম্ভাবনা কমে গেলেও কিছু কিছু আবার বেশি দেখা যায়। ধুলা এবং ডাস্ট মাইট: ঘরের বিছানা, তোশক, কার্পেট এবং সোফার গদিতে লুকিয়ে থাকতে পারে একেবারে মাইক্রোস্কোপিক আকৃতির ডাস্ট মাইট। এরা মাকড়সা জাতীয় এক ধরণের পোকা যা অ্যালার্জির উদ্রেক করতে পারে। এর জন্য নিয়মিত রৌদ্রে দিতে হবে তোশক এবং গদি। গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার। যাতে মারা যায় এসব মাইট।ছত্রাক: বাড়ির স্যাঁতস্যাঁতে এলাকাগুলোতে ছত্রাক বেশি থাকে, যেমন বাথরুম এবং স্টোররুম। বাতাসের ছড়ায় এমন ছত্রাকগুলো সৃষ্টি করতে পারে অ্যাজমার উপসর্গ এবং অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। প্রথমতই বাড়ি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকার কারণগুলো দূর করতে হবে। স্যাঁতস্যাঁতে এলাকাগুলোত...