সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

কবিতা ও গল্প

আমি গর্বিত  :: মা হ বু ব প লা শ

আমি গর্বিত :: মা হ বু ব প লা শ

কবিতা ও গল্প, খবরিকা আর্কাইভ, গ্যালারি, জনপদ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, মুক্তাঙ্গন, সাহিত্য-সংগঠন, স্বজন, স্লাইড
আমি গর্বিত সেই বীর সেনানীর সন্তান বলে। যিনি এই বাংলার বীর স্থপতি এমন সূর্যসন্তানদের দেশে জন্মগ্রহন করে। আমি গর্বিত আমার জাতির পিতা ছিলেন একজন আপোষহীন মুক্তিকামি দেশপ্রেমিক বীর। আমি গর্বিত এমন দরাজ কন্ঠের সেই কবির দেশে আমার জন্ম, যাঁর কন্ঠের সেই অমৃত বাণী ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’’ আজো প্রেরণা জোগায় লক্ষ কোটি প্রাণে। আমি গর্বিত সেই মহানায়কের জন্যে যাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আমার প্রয়াত পিতা ও রাইফেল কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সেদিন। সেই পিতার যুদ্ধের গল্প শুনে একসময় হতাম শিহরিত। আমি ধন্য সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতার গর্বিত সন্তান হয়ে । আমি ধন্য সেই জাতির পিতার দেশে জন্মগ্রহন করে । ঘাতকরা সেদিন বুলেটের আঘাতে এতোটা বিক্ষত করার পর ও আমার প্রিয় বঙ্গবন্ধু সেদিন উপুড় হয়ে মৃত্যুবরণ করেননি। বীরের মতো চিৎকার করে বীরদর্পে আকাশের পানে বুক ...
শকুনের ডানা  : মা হ বু ব প লা শ

শকুনের ডানা : মা হ বু ব প লা শ

কবিতা ও গল্প, খবরিকা আর্কাইভ, গ্যালারি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, মুক্তাঙ্গন, সাহিত্য-সংগঠন, স্বজন, স্লাইড
সৈকতের একটা নারিকেলতলায় একদা আমি নিশ্চুপ শুয়েছিলাম, আকাশের দিকে অবিচল তাকিয়ে... ডানা মেলে একটা পাখি বৃত্তাকারে আমার উপর ঘুরছে। তার সৌন্দর্য্য আমায় বিমোহিত করে তন্দ্রাচ্ছন্নই করেছিল। অথচ কিছুক্ষন পর বুঝতে পারলাম পাখিটা তার লাল কালো ঠোঁট ঝুকিয়ে আমাকে লক্ষ করছিল তার কাংখিত ক্ষুধার অন্ন ভেবে। নিথরতার ঘোর কেটে যখনি বুঝতে পারলাম আমার স্নায়ুবিক নিয়ন্ত্রণ ফিরে এসেছে, আমি এখনো বেঁচে আছি পৃথিবীর প্রান্তরে। তারাপুঞ্জ ফুটে আছে, কালো জ্যাকেটে মোড়া এই আমি লাউড স্পীকারে ঝড় তুলে মাইকেল জ্যাকসনের মতো চিৎকার করে বলি বেঁচে আছি আমি- হৃদকম্পন আছে আমার- পর্বত প্রাচীরের অতলে মৃত ঝর্ণার মতো- আজো বেঁচে আছি আমি। ।...
কৃষ্ণচূড়ার নীচে :: পারভীন শীলা

কৃষ্ণচূড়ার নীচে :: পারভীন শীলা

কবিতা ও গল্প, খবরিকা আর্কাইভ, খবরিকাকাগজ, গ্যালারি, বিনোদন, মুক্তাঙ্গন, সাহিত্য-সংগঠন, স্বজন, স্লাইড
কৃষ্ণচূড়ার নীচে দাঁড়িয়ে ভাবছি আজ তুমি নেই আছে স্মৃতিটুকু যতটুকু দিয়েছিলে আমায় গ্রহণ করেছি ততটুকু। কাক ডাকা সেই আবছা আলোয় ভোরে বকুলের গন্ধে আকুল মনের দরজা খুলে শিশিরে ভেজা পায়ে মেঠোপথ পেরিয়েছি কত দু হাতের কঠিন আলিঙ্গনে। ডোবা, পুকুরের জলে ভিজে বালিয়াড়ি হাঁসের খোঁজে কখনো বিলের ধারে, শাপলা শালুকের খোঁজে ডুব দিয়ে পানকৌড়ির মতো জলে, আরো কতো বনের ভিতর বেতের কাঁটার ঘায়ে, কেটেছে পা ঝরেছে রক্ত, তাও দৌড়েছি হাত ধরে বউ কথা কও পাখিটির খোঁজে, আম গাছের মগ ডালে বসে পাশাপাশি - কাঁচা আমের স্বাদে ঝুলিয়েছি পা মনের আনন্দে। এ ভাবে সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল, সারাদিনের ছুটোছুটি খুনসুঁটি সন্ধ্যেয় মায়ের বকুনি। সবই পড়ে মনে শুধু নেই তুমি বিদায়ের বেলায় বলেছিলে বন্ধু এবার হলো ছুটি ভুলে যেও সব আমার দেয়া প্রীতি। সব ভুলে গেছি পড়ে শুধু মনে কৃষ্ণচূড়ার নীচে তোমার আমার মন দ...
একান্তে :: এলিজা খাতুন

একান্তে :: এলিজা খাতুন

আমিরাত সংস্করণ, কবিতা ও গল্প, খবরিকা আর্কাইভ, খবরিকাকাগজ, বিনোদন, মুক্তাঙ্গন, সাহিত্য-সংগঠন, স্বজন, স্লাইড
মেঘমুক্ত রাত এলেই জ্যোৎস্না দেখতে বেরিয়ে পড়া মানুষেরা রূপসজ্জা শুরু করে দিন থাকতেই চাঁদের আলোর নিচে ওরা হয়ে ওঠে এক একটি অন্ধকার ভাসে নিজ নিজ আঁধারে এদিকে আমি অসজ্জিত অন্তরে জানালার পাশে মূলত সাজের মধ্যে প্রিয় ছিল কাজল বাড়ির উঠোনে সবজিবিহীন শূন্য মাচা বা শূন্য গোয়ালের মতো অতল শূন্যতায় পূর্ণ হৃদয় এখন কাজল বলতে- অন্ধকার ব্যতীত আর কিছু বুঝিনা বৃষ্টি ভালোবেসে বীজ বোনার স্বপ্ন সাজাই মধ্যরাত থেকে আকাশে দারুণ মেঘ ! নড়বড়ে চালের নিচে ঝড়ের উদ্বেগ যদি রৌদ্রে যাবার নিমন্ত্রণ পাই কোনো ভোরে নির্বাসিত হৃদয় ফিরে তাকাতেও পারে- পাথর-সময়ে চাপা পড়া নিজ অবয়বে অথবা রোদ লাগা একান্ত ছায়ায় । ।...
একান্তে :: এলিজা খাতুন

একান্তে :: এলিজা খাতুন

কবিতা ও গল্প, খবরিকা আর্কাইভ, গ্যালারি, বিনোদন, মুক্তাঙ্গন, সাহিত্য-সংগঠন, স্বজন, স্লাইড
মেঘমুক্ত রাত এলেই জ্যোৎস্না দেখতে বেরিয়ে পড়া মানুষেরা রূপসজ্জা শুরু করে দিন থাকতেই চাঁদের আলোর নিচে ওরা হয়ে ওঠে এক একটি অন্ধকার ভাসে নিজ নিজ আঁধারে এদিকে আমি অসজ্জিত অন্তরে জানালার পাশে মূলত সাজের মধ্যে প্রিয় ছিল কাজল বাড়ির উঠোনে সবজিবিহীন শূন্য মাচা বা শূন্য গোয়ালের মতো অতল শূন্যতায় পূর্ণ হৃদয় এখন কাজল বলতে- অন্ধকার ব্যতীত আর কিছু বুঝিনা বৃষ্টি ভালোবেসে বীজ বোনার স্বপ্ন সাজাই মধ্যরাত থেকে আকাশে দারুণ মেঘ ! নড়বড়ে চালের নিচে ঝড়ের উদ্বেগ যদি রৌদ্রে যাবার নিমন্ত্রণ পাই কোনো ভোরে নির্বাসিত হৃদয় ফিরে তাকাতেও পারে- পাথর-সময়ে চাপা পড়া নিজ অবয়বে অথবা রোদ লাগা একান্ত ছায়ায় । ।...
উর্দ্ধপানে  :: মা হ বু ব প লা শ

উর্দ্ধপানে :: মা হ বু ব প লা শ

আমিরাত সংস্করণ, কবিতা ও গল্প, খবরিকা আর্কাইভ, গ্যালারি, জাতীয়, প্রথম পাতা, বিনোদন, বিশেষখবর, মুক্তাঙ্গন, সাহিত্য-সংগঠন, স্বজন, স্লাইড
অশ্বখুরের বাজনা বাজছিল মস্তিস্কে ঘোড়ার লাগাম কখনো রাখাল বালকের হাতে বাঞ্চনীয় নয় ! এটুকুন বোঝার আগেই রক্তিম নীলিমায় অস্তমিত সূর্যের সাথে সাথে আমার সমস্ত সাম্রাজ্য আজ ঘোর অমানিশায়। তন্দ্রা থেকে জেগে উঠে দেখি- আমি আদি, আমি অন্ত। চোখ মেলে রোদের ঝলকানিতে দেখি জ্বলজ্বল করা শিলা রাশির উপর নোনাজলের ছলাৎ ছলাতে খেলছে অষ্টাদশি। ঢেউয়ের পর ঢেউ আচড়ে পড়ছে যুগল দেহে যেন পরিশোধিত হচ্ছে ওদের অতিত আর আগামী। অদূরে ঝাউতলে উর্দ্ধপানে বসে আমি কতোজনের আগমনী আর বিদায় দেখি। স্বপ্নবাজ আমি, বাস্তবে শূণ্য রাশি রাশি।...
খুব বেশি কিছু চাইনি  : সোমা মুৎসুদ্দী

খুব বেশি কিছু চাইনি : সোমা মুৎসুদ্দী

কবিতা ও গল্প, খবরিকা আর্কাইভ, গ্যালারি, বিনোদন, মুক্তাঙ্গন, সাহিত্য-সংগঠন, স্বজন, স্লাইড
  তোমার কাছে খুব বেশি কিছু চাইনিতো পুকুর পাড়ে খুনসুটি ময় একটি পূর্ণিমা রাতই তো তুমি এনে দিলে প্রাচীণ ভারতের শিল্পকলার কারুকাজ ময় একজোড়া রূপোর বালা এরপর চলে গেলে দিল্লি আমি কি তবে রুপোর মাঝখানে ফাঁকা গোল বৃত্তটাকে পূর্ণিমার চাঁদ ভেবে নেবো তোমার আসার সে আর কতো বাকি মাঝখানে কিছু সময় হারিয়ে যায় মূল্যবান সোনার আংটির মতো তুমি ছাড়া খোঁপায় গোঁজা হয়না রুপোর কাঁটা অনেকদিন ছাদেও উঠিনা কাপড় মেলে দিতে নির্মলাই সব সেরে নেয়, আর বলে আমি দিয়ে আসি বৌ দিদি তুমি তো জানো, তুমি আসলে সব হবে সন্দেশ বানানো, খোঁপায় কাঁটা গোজা ছাদে বসে বা পুকুর পাড়ে বসে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা লাল, সাদা শাড়িতে নিজেকে মোড়ানো কানে রুপোর ঝুমকা, হাতে বালা পায়ে, রুপোর নূপুরের ছন্দে রিনিক ঝিনিক শব্দ সব হবে সব ।...
মন খারাপের জীবন্ত কবর : পারভীন লিয়া

মন খারাপের জীবন্ত কবর : পারভীন লিয়া

আমিরাত সংস্করণ, কবিতা ও গল্প, খবরিকা আর্কাইভ, জনপদ, জাতীয়, মুক্তাঙ্গন, সাহিত্য-সংগঠন, স্বজন, স্লাইড
মন খারাপের দরজাটা আজ তালাবন্ধ চাবি নিয়ে উড়ে গেছে গাঢ় রঙের গাংচিল, তোমার মুখের প্রশারিত পুস্পিত ছবি আঁকে- তবুও বিভৎস অন্ধকারের একটি স্বচ্ছ তুলি। সুগন্ধি মাখা শরীর বাতাসে খেলে দোলে একা আবদ্ধ জেলখানায় চিন্তা শক্তির মগজে রক্ত, শিকলে বন্দী দিশেহারা স্বপ্ন স্নিগ্ধ পৃথিবী ভাজে- ডানা ভেঙে পরে থাকে নিথর রক্তাক্ত পাখি। চলে যাওয়ার পথে বিষন্নতার সু-দীর্ঘ নিঃশ্বাস তোমার বিদায় মনে করিয়ে দেয় বিবেকবান আত্মা, পরন্ত বিকেলে দূর থেকে দেখি ছিন্ন ভীন্ন স্মৃতি কেউ কথা রাখে না, কিংবা রাখতে পারেনা-স্বভাবে। নিশ্চিহৃ হয়ে যাক দুঃখ কষ্টের সব যন্ত্রণার রাত অন্ধ হয়ে যাক সব অসভ্য প্রতারণার লম্পট চোখ, ভালবাসার হাত ধরে বন্ধ হয়ে যাক ব্যথার দরজা- আড়ষ্ট চোখে অশ্রু নেমে যাক- থেমে যাক দীর্ঘ পথ। তুমি ফিরবে একদিন, সেদিন বুঝি আসবে না আর স্বপ্ন ভাঙনের ধর্ষণ দুস্বপ্নের অঙ্গীকার করে নিঃশ্বব্দ, আলিঙ্গিত চ...