শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

৯ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক-

টাইগারদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট হাতে জবাব দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।মুশফিকদের দেওয়া ৩০৫ রানের লক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৯ উইকেটে ৩৭৭ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ৩৭৭/৯

উইকেটে আছেন:   কেফ(৮) ও লায়ন(০)।

অস্ট্রেলিয়ার আউট হয়েছেন: ম্যাট রেনশ (৪), স্মিথ (৫৮), হ্যান্ডসকম্ব (৮২), ওয়ার্নার (১২৩), কার্টরাইট (১৮),ওয়েড (৮),ম্যাকসওয়েল (৩৮), কামিন্স(৪),অ্যাগার (২২)।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উইকেট নিয়েছেন: মুস্তাফিজ ৩টি ,তাইজুল ১টি , মিরাজ ৩টি ও সাকিব ১টি।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

বাংলাদেশঃ  তামিম ইকবাল (৯), ইমরুল কায়েস (৪), সৌম সরকার (৩৩), মমিনুল হক (৩১), সাকিব আল হাসান (২৪), সাব্বির রহমান (৬৬),মুশফিক (৬৮), নাসির (৪৫), মিরাজ (১১), তাইজুল (৯)

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উইকেট নিয়েছেন: নাথান লায়ন ৭ টি ও অ্যাস্টন অ্যাগার ২ টি।

মিরাজ ফেরালের কার্টরাইটকে: অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশর দেওয়া লক্ষ্য পূরণ করতে তারা বড় শর্ট খেলছিলেন। এই লক্ষেই ওয়ার্নারের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা কার্টরাইটের সাথে ম্যাক্সওয়েল বাংলাদেশি বোলারদের উপর চড়াও হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা দলকে ২৩ রানের জুটি গড়েন । কিন্তু তাদের জুটিকে আর বড় হতে দেননি  মিরাজ। কার্টরাইটকে ব্যক্তিগত ১৮ রানে প্যাভিলনে ফেরত পাঠালেন মিরাজ।

প্যাভিলনে ফিরেছেন ওয়ার্নার: সিরিজে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে নিজের মামর্থের জানান দিয়ে ছিলেন ওয়ার্নার। আজ সেঞ্চুরির পর আর ভয়ানক হয়ে উঠেছিলে ওয়ার্নার । তিনি দ্রতু রান সংগ্রহের জন্য বড় বড় শর্ট খেলছিলেন। কিন্তু মুস্তাফিজের বলে স্লিপে কায়েসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ওয়ার্নার। এর আগে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে ওয়ার্নারের সহজ স্ট্যাম্পিং মিস করেছিলেন মুশফিক।

ক্যাচ ফসকালেন মিরাজ: মুস্তাফিজুর রহমানের বলে স্লিপে ম্যাক্সওয়েলের সহজজ ক্যাচ ফসকালেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ম্যাক্সওয়েলের যখন ক্যাচ ছেগেছেন তখন তিনি ১০ রানে ব্যাট করছিলেন। এর আগে মমিনুল হক টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ১৭ রানে  হ্যান্ডসকম্বের ক্যাচ নিতে পেরেছিলেন না।

ওয়ার্নার ও হ্যান্ডসকম্ব জুটির অবসান: চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনটা বাংলাদেশি বোলারদের জন্য কঠিন অগ্নিপরিক্ষা নিয়েছে ওয়ার্নার ও হ্যান্ডসকম্ব জুটি। তাদেরকে সাকিব, মিরাজ, তাইজুলরা কোন রকমেরই বিপাকে ফেলতে পারিনি। যদিও কাল দিনের খেলার শেষ দিকে মুশফিক ওয়ার্নানের সহজ একটি স্টাম্পিং মিস করার টাইগার ভক্তদের আরো হতাশা বেড়েছে। ওয়ার্নার ও হ্যান্ডসকম্ব জুটির সেই অপ্রতিরোধ্যতা আজও বিদ্যমান ছিল। তারা দুজনে দলকে এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ১৫২ রানের পার্টনারশিপ। কিন্তু এর পরেই নাসিরের বলে হ্যান্ডসকম্ব  রান নিতে গেলে সাকিব আল হাসানের থ্রেতে রান  আউটের ফাঁদে কাটা ৮২ রানে প্যাভিলনে ফিরে যান তিনি।

ওয়ার্নার ও হ্যান্ডসকম্ব জুটি,ক্যাচ মিস: অস্ট্রেলিয়া শিবিরে এখন বইছে স্বস্তির বাতাস। স্মিথকে ফেরানেরা পর আবার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ওয়ার্নার ও হ্যান্ডসকম্ব জুটি। অবশ্য এ জুটিতে মমিনুলের কিছুটা অবদান রয়েছে। অসি ব্যাটসম্যান হ্যান্ডসকম্ব ১৭ রানে ব্যাটিং করার সময় তাইজুলের বলে একটি ক্যাচ মিস করেন মমিনুল। এ মধ্যেই ওয়ানার তুলে নিয়েছেন তার অর্ধশতক। এ সময়ে ওয়ার্নার ও হ্যান্ডসকম্ব জুটি দলেকে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ করে ফেলেছন।

স্মিথের বিদায়ে স্বস্তি: অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্রথম থেকেই দেখে শুনে খেলছিলেন। তার ফলটাও পেলে ছিলেন। করে ফেলেছিলেন নিজের অর্ধশতক। কিন্তু এর পর আর বেশি সময় তাকে ক্রিজে থাকতে দিলেন না তাইজুল। তিনি তার প্রথম বলেই স্মিথকে বোল্ড করে দিয়ে প্যালিলনে ফেরত পাঠিয়েছেন। স্মিথ আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৮ রান।

ঘুড়ে দাড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়া দলের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ ওয়ার্নার ও স্মিথ। তারা দুজনেই দলকে নিয়ে যেতে পারেন রানের চূড়ায়। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইংনিংসে আবারো ভয়ংঙ্কর হয়ে দাড়িয়েছে তাদের পার্টনারশিপ। ইতিমধ্যেই তারা দুজনে মিলে দলকে দিয়েছেন ৭০ রানের গুরুত্বপূরর্ণ জুটি। এই দুজনকে  যদি খুব তাড়াতারি আউট না করা সম্ভব না হয় তাহলে বেশ বিপদেই পড়তে হবে বাংলাদেশ দলকে।

রোনশো ফেরালেন মুস্তাফিজ: অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশি পেসার উইকেট পেলো। আর সেটা এলো মুস্তাফিজের হাত ধরে। মুস্তাফিজ তার করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলটিতেই আউট করেন রোনশোকে। উইকেটের পিছনে মুশফিক ক্যাচ নিলে ৪ রানে প্যাভিলনে ফিরে যান রেনশ।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই  মুশফিকের বিদায়ে বড় ধাক্কাই খেয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিক ফিরেছিলেন ৬৮ রানে। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছিলেন নাসির ও মিরাজের ২৮ রানের জুটি। কিন্তু ওখানেই শেষ। এরপরই নাসির ধৈয্য হারিয়ে নাথাল লায়নের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ৪৫ রানে ফিরে যান। এর আর ক্রিজে বেশি সময় নেননি মিরাজও। তিনি ১১ রানে কাঁটা পড়েন রান আউটের ফাঁদে। এরপর তাইজুল একটু ঝড়ো ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করলেও বেশি দূর যেতে পারিনি বাংলাদেশের প্রথম ইংনিংসের স্কোর। তিনিও নাথান লায়নের বলে ৯ রানে ফিরে গেলে সমাপ্তি ঘটে বাংলাদেশের ইংনিংসের। ফলে বাংলাদেশের প্রথম ইংনিংস ৩০৫ রানে শেষ হয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান লায়ন ৭ টি উইকেট নিয়েছেন।

টেস্টের প্রথম দিনে লায়নের স্পিনে ৮৫ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারানো বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িছিল। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করা সাব্বির রহমানের সঙ্গে শতরানের জুটিতে দলকে মুশফিকুর রহিম নিয়ে গেছেও ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।এছাড়া দলের হয়ে মমিনুুল (৩১)ও সৌম্য সরকারের (৩৩) রানের সুবাদে প্রথম দিনটা ২৫৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে জিতে বাংলাদেশ এখন সিরিজ জয়ের জন্য লড়াই করছে।