বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

৪৮ ঘণ্টার আশ্বাস ছিলো, ৪৮ মাসেও পূরণ হয়নি

Farzana99_1329685326_1-4214_86615598103_770343103_1791467_4089449_n-copy

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি ২০১২ সালে খুন হওয়ার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
তার নয় মাস পর কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন ঘটা করে।
এরপর ৪৮ মাস গড়িয়ে গেলেও এখনও এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ র‌্যাব আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিমাসে শুধু তদন্তের ‘অগ্রগতির’ প্রতিবেদনই দিয়ে যাচ্ছে, তবে সেই ‘অগ্রগতি’ কোনো উপসংহারে আসছে না।
হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে শুরুতে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো রাজপথে থাকলেও নিজেদের বিভাজনের নানা মেরুকরণে সেই সক্রিয়তাও এখন আর নেই।

এই অবস্থায় মামলার বাদী রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান এই হত্যারহস্যের জট খোলার কোনো আশা আর করতে পারছেন না; যদিও র‌্যাব বলছে, সব ধরনের পন্থা অবলম্বন করেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের একটি পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।

ওই বাসায় বাবা-মায়ের লাশের সঙ্গে শুধু তাদের শিশু সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘকেই পাওয়া গিয়েছিল। অপেশাদার খুনিরা ধারাল অস্ত্রের আঘাতে দুজনকে হত্যা করেছিল বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়।

বিচার দাবির কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল ছোট্ট মেঘকেও। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সামনে বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে; যা না ঘটার পর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন। থানার হাত ঘুরে তদন্তের দায়িত্ব যায় ডিবিতে।

৬২ দিন পর ডিবির আদালতের কাছে ব্যর্থতা স্বীকার করলে তদন্তের দায়িত্বে আসে র‌্যাব। এখনও তারাই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

এই হত্যাকাণ্ডের চার বছর পেরুনোর একদিন আগে বুধবার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলেন, “সব হত্যাকাণ্ডেরই যে দ্রুত রহস্য উদ্ঘাটন হয়ে যায়, তা নয়। স্পর্শকাতর মামলাগুলোতে সময় লাগে।

“সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড একটি স্পর্শকাতর মামলা। এ কারণে এর রহস্য উদ্ঘাটনে একটু সময় লাগছে। র‌্যাব আন্তরিকভাবেই কাজ করছে।”