মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

হার্ট অ্যাটাক : প্রয়োজন সাবধানতা

heart-attack

হৃদপিণ্ডের কোনো অংশে, যেমন পেশীতে যদি অক্সিজেনপূর্ণ রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়, তখন হার্ট অ্যাটাক হয়। যদি যথাসময়ে সেই রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা যায় তবেই আবার সব স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। আর যদি না যায়, তাহলে হৃদপিণ্ডের ওই অংশ সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে মানুষের মত্যু পয়ন্ত ঘটতে পারে।

উপসর্গ

হার্ট অ্যাটাকে সবার ক্ষেত্রে একই রকম উপসর্গ নাও হতে পারে। অনেক সময় কোনোরকম উপসর্গ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হয়। একে নীরব হার্ট অ্যাটাক বলে।

তবে সাধারণত নিম্নোক্ত উপসর্গ দেখা যায়-

  • বুকে চাপ চাপ ব্যাথা বা এর আগে অন্য কোনো কারণে বুকব্যাথা থাকলে তার পরিবর্তন হওয়া এবং অন্য ধরনের ব্যাথা অনুভুত হওয়া। ব্যাথার স্থায়িত্বকাল কয়েক মিনিট হতে কয়েক ঘণ্টাও হতে পারে। ব্যথার তীব্রতা কম বা অনেক বেশিও হতে পারে। অনেক সময় পেটে গ্যাস হলে যেমন ব্যথা হয় এখানেও তেমন ব্যথা হতে পারে।
  • শরীরের উপরের অংশে অস্বস্তি অনুভুত হওয়া। এটা দুই হাত বা যে কোন একহাতে হতে পারে। এছাড়া পিঠে, ঘাড়ে, মুখের চোয়ালে, পেটের উপরের অংশে ব্যাথা হতে পারে।
  • বুক ব্যাথার সাথে সাথে বা তার আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া।
  • বমি বমি ভাব হওয়া।
  • ঘুমের সমস্যা হওয়া, তেমন কোনো পরিশ্রম ছাড়াই ক্লান্তি অনুভব।

হার্ট অ্যাটাক হবার সঙ্গে সঙ্গে করণীয়-

হাসপাতালে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন বা একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলবেন। এ ছাড়াও বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে, যেমন –

  • অক্সিজেন নেওয়া
  • অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট খাওয়া
  • নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে নেওয়া
  • বুকের ব্যথার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া
  • উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা কমানোর জন্য ওষুধ খাওয়া

হার্ট অ্যাটাক একবার হয়ে যাবার পর করণীয়-

  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও সুস্থ জীবনযাপনের অভ্যেস গড়ে তোলা। শাকসবজি, ফলমূল বেশি করে খাওয়া
  • ধূমপান সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করা
  • ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা
  • প্রতিদিন খানিক সময় হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করা

উৎস-পরিবর্তন

Leave a Reply