শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে বিদ্যালয়

2016-01-27_11_58_32

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পারাপার করছে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো
রেজা তানভীর: পাড়াড়ের পাদদেশে বিদ্যুৎহীন, সুপেয় পানির অভাব, অপ্রতুল যাহায়াত ব্যবস্থা যেটির দুই ধারে পাহাড়, এক পাশে ছরা এমন একটি পরিবেশকে পাশ কাটিয়ে পাহাড়ী শিশুদের নিয়ে গড়ে উঠেছে জহুরুল হক আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০১৩ সালে প্রবাসী জসিম উদ্দিন লিটনের সার্বিক তত্বাবধানে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় উত্তর আমবাড়িয়া গ্রামের ব্রাক পোলট্রি ফার্মের উত্তর পার্শে পাহাড়ের নিকটেই। এমন একটি পরিবেশ যেখানে ছরার উপর দিয়ে পারাপার করার ভালো কোনো সাঁকো নেই। একটি সাঁকো আছে যেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পারাপার করছে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো। যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল জলিল বলেন, ছরার উপরে ভালো একটা সাঁকো নির্মাণ হলে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহজে পারাপার করতে পারতো। কিন্তু এখন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়ে যেতে পারে। সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
পাহাড়ের সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়ে, যাদের ভিটেমাটি নেই, দুবেলা ভাত খেতে কষ্ট হয় সে রকম ছেলেমেয়েদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়া হচ্ছে নিঃসন্দেহে একটা গর্বের ব্যাপার। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এখানকার সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকই ক্ষেতে খামারে কাজ করে। যাদের সন্তানদের খাতা কলম, কাপড়-চোপড় ইত্যাদির ভরণপোষন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানই নিয়ে থাকে। তবে শিক্ষকদের বেতন একেবারেই নামমাত্র। তাদের অক্ষরজ্ঞান দিতেই শিক্ষকরা খুব আগ্রহী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল জলিল খবরিকাকে বলেন, অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ক্ষেতে খামারে কাজ করে তাদের সপ্তাহে তিনদিন কাস করিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাটুকু পৌঁছে দিচ্ছি যাতে এই অঞ্চলে অক্ষরজ্ঞানহীন মানব না থাকে।
২০১৩ সালে অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে প্রথম শ্রেনী নিয়ে শুরু করা বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪র্থ শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৫। প্রধান শিক্ষক সহ মোট শিক্ষক রয়েছেন ৪জন। শিক্ষকবৃন্দ হলেন, রোকসানা আক্তার, ডলি আক্তার, তাসলিমা আক্তার ও দিদারুল আলম।