শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনীতি করতে চায় আ.লীগ : ফখরুল

নিউজ,প্রতিবেদক :রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে চায় বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নয়, বরং আওয়ামী লীগ রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনীতি করতে চায়। সেজন্যই তারা প্রস্তাব দিচ্ছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আর বাংলাদেশের বিজিবি যৌথভাবে টহল দিয়ে অভিযান চালাবে।’

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।

সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোথায় এবং কার বিরুদ্ধে এ যৌথ অভিযান চালানো হবে? যাদেরকে হত্যা, ধর্ষণ করা হচ্ছে, যাদের শিশুদের মেরে ফেলা হচ্ছে, যেখানে গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে? আর সেখানে বিজিবি থাকবে?’

‘মূলত পুরোপুরি নতজানু হয়ে গেলে নিজস্বতা না থাকলে এবং অন্যের ওপর নির্ভর করে চলতে থাকলে সাধারণ এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো নেয়’, বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছি- রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকারের এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। মিয়ানমার সরকারকে বলছি অবিলম্বে তারা যেন রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা বন্ধ করে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারা বিশ্ব প্রতিবাদে সোচ্চার হলেও সরকার এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে। তবে দেরিতে হলেও উনি (প্রধানমন্ত্রী) রোহিঙ্গাদের দেখতে এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে গেছেন। এতদিনে বোধদয় হয়েছে। তবে এখনও পুরোপুরি বোধদয় হয় নাই, সুযোগ পেলেই বিএনপিকে দোষারোপ করে বসেন।’

আগামী নির্বাচনে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের কথা খুব স্পষ্ট, আপনারা সংবিধান পরিবর্তন করেছেন। সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিনটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার পরও শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশে অশান্তি, অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চিয়তার দিকে টেলে দিচ্ছেন। তাই আজ যত সংঘাত সমস্যা তৈরি হচ্ছে তার মূলে রয়েছে নির্বাচন।’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আশা করি আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। সহায়ক সরকারের যে প্রস্তাব আমরা দিতে যাচ্ছি খালেদা জিয়া দেবেন সেই প্রস্তাব মোতাবেক একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। অন্যায় ইতিহাস এবং জনগণের কাছে দায়ী থাকবেন। জনগণ ক্ষমা করবে না।’

সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকতউল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোর্তুজা করিম বাদরু, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, ঢাকা মহানগর যুবদল (উত্তর) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, যুবদল (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন প্রমুখ।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।