বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো সহায়তা প্রত্যাশা করে না বাংলাদেশ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো সহায়তা প্রত্যাশা করে না বাংলাদেশ। কারণ এ ইস্যুতে ট্রাম্পের মনোভাব তিনি জানেন।সোমবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজ দেশের এ অবস্থানের কথা জানান শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরের দিন সোমবার জাতিসংঘের সংস্কার নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত এক বৈঠকে অংশ নেন তিনি। পরে এ নিয়ে রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। আলাপকালে কয়েক মিনিটের জন্য তিনি ট্রাম্পকে আটকেও দিয়েছেন।

রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘তিনি (ট্রাম্প) শুধু জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থা কী?’ আমি বলেছি, খুব ভালো চলছে, তবে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীরাই আমাদের একমাত্র সমস্যা। তবে তিনি (ট্রাম্প) শরণার্থীদের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।’’

গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা ও পুলিশ চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর প্রাণঘাতী অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানের পর থেকে এখন পর্যন্ত চার লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘ এই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূলকরণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। মিয়ানমার সরকারের দাবি, দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধে প্রায় ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।
এমন বাস্তবতায় সমবেত বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রয়টার্সকে বলেন, শরণার্থীদের বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান পরিষ্কার। সুতরাং রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার কোনো মানে নেই।

‘আমেরিকা এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা কোনো শরণার্থীকে ঢুকতে দেবে না’, বলেন শেখ হাসিনা।ট্রাম্পের মানসিকতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের, বিশেষত প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) কাছ থেকে কী-ই বা আশা করতে পারি। তিনি এরই মধ্যে তাঁর মনোভাব জানিয়ে দিয়েছেন…তাই আমি কেন তাঁর (সাহায্য) চাইব?’

‘বাংলাদেশ ধনী দেশ নয়… তবে আমরা যদি ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে আরো পাঁচ বা সাত লাখ মানুষকে কেন নয়, আমরা এটা করে দেখাতে পারি।’