শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মেধাবী শিক্ষার্থী আবু বক্কর ছিদ্দিক বাঁচাতে চায়

সীতাকুন্ড প্রতিনিধিঃ  শিক্ষার আলো ছড়াতে যে লোক সাহায্যকারী হয়ে সীতাকুণ্ডস্থ জেলা পরিষদে  লাইব্রেরীতে দীর্ঘ দিন ধরে স্বল্প বেতনে চাকুরী করছেন মো. আকবর।  অস্থায়ী ভিত্তিতে অল্প বেতনে চাকুরীর নিয়ে পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।  এরপরও উপায় না থাকায় জনকল্যান মূলক পেশাকে আগলে রয়েছে।  কিন্তু এ অবস্থায় চুন থেকে পান খষতেই বড় ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করা হয়ে উঠে দূরহ।  তাই ডাক্তার যখন বললেন ছেলের চিকিৎসায় প্রায় ৩ লাখ টাকা প্রয়োজন।  তাহলে তো আর কথায় নেই, এ যেন মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়া।  এখন বিচলীত পিতা  চোখে-মুখে দেখছে শুধু অন্ধকার।  সবার হাত-পা ধরে ধরে বলছেন, আমার ছেলেকে বাঁচান ভাই, একটু সাহায্যেও হাত বাড়ান।

কেয়ার টেকার আকবর চোখের জ্বলে বলেন,‘ অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরী করে ৫ হাজার বেতন পায়।  এ বেতনে চাকুরী করে চলে না সংসার।  তারপরও চাকুরীর স্থায়ীত্বে আশায় দুঃখে-কষ্টে নিয়ে পেশায় নিয়োজিত রিেছ।  জীবনে শত কষ্টের মাঝেও কোনো রকমে জীবন পার করছি।  কিন্তুু অথচ এ অবস্থার মধ্যে স্কুল পড়–য়া ছেলের হার্টে ছিদ্র ধরা পড়েছে।  ডাক্তার বলেছে, দ্রুত চিকিৎসা না হলে ছেলের যে কেনো সময় মৃত্যু হতে পারে।  এখন কি করব,কার কাছে যাব ভেবে ভেবে দিশেহারা। ’ তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১১ মাস রোগে ভোগার পর ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা শুরু হয়।  এর মধ্যে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছেলের হার্টের ছিদ্র ধরা পড়ে।  এ জন্যে লাগবে প্রায় ৩ লাখ টাকা।  যেখানে সাধারণ চিকিৎসা নিতে হিমশিম খাচ্ছি সেখানে অপারেশনের ৩ লাখ টাকা জোগাড় করা কঠিন ব্যাপার।  সবার কাছে হাত পাতা ছাড়া কোনো উপায় নেই।  তাই সবাই একটু সহযোগীতার হাত বাড়ালে ছেলের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, সহপাঠির রোগের কথা শুনে হতাশ হয়ে পড়েছে সহপাঠী ও শিক্ষকরা পূর্ব সৈয়দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষীকা মিনু রানী সূত্রধর বলেন,‘ ছাত্র আবু বকর এবার পিএসসি পরীক্ষার্থী।  ছাত্র হিসেবে পড়া-লেখায় ভাল।  তাঁর রোগের কথা শুনার পর পুরো স্কুলে অন্ধকার নেমে এসেছে।  গরীব পরিবার হওয়ায় চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করা সম্ভব নয়।  সবার সম্মিলীত প্রচেষ্টা ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব না।  তাই স্কুলের পক্ষ হতে কিছু সহযোগীতার চেষ্টা করছি।  আমরাও ছাত্রদের থেকে সাহায্য নিয়ে কিছু সহযোগীতা করছি বলে জানান তিনি।

এ অবস্থার মধ্যে পরিবারটির জীবন কাটছে চরম দঃখ-দুর্দশা আর হতাশায়।  এখন চিকিৎসা নিতে সকলের সহযোগীতায় একমাত্র ভরসা।  তাই বিকাশ এই নাম্বারে ০১৮১১৫৪০৭২৩ সহযোগীতার হাত পেতেছেন সকলের কাছে।