নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত ১৮ ফ্রেবুয়ারী রোজ শনিবার মীরসরাই প্রেস ক্লাবের বার্ষিক আনন্দভ্রমন সম্পন্ন হয় । সকাল ৯টায় মীরসরাই সদর ছেড়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি পলাশ মাহবুব ও সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে রামগড়ের উদ্যেশ্যে রওয়ানা হই। পাহাড়ি সাপের মত আঁকাবাঁকা চুড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমরা পৌছে যায় রামগড়। সেখানে আমাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করেছেন চলমান খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা । প্রথমে পরিদর্শন করি প্রায় দেড় মাইলব্যাপী রামগড় চা বাগান। পথে পথে চলে আমাদের সম্মিলিত, খন্ড, পারিবারিক ও বিক্ষিপ্ত ফটোসেশন।
ডিএসএলআর ক্যামেরার আমাদের স্থিরচিত্র ধারন করেছেন কামরুল হাসান জনি, মামুন নজরুল, ইমাম হোসেন, রেজা তানভীর, তৌহিদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম , ফিরোজ মাহমুদ সহ আরো অনেকে। চা বাগান পরিদর্শন শেষে আমরা সাড়ে ১১টায় গাড়িতে উঠলাম। উদ্যেশ্য রামগড় লেক। সেখানে আমরা জেলা পরিষদের রেস্টহাউজে সবার অবস্থান। সেখানে মীরসরাই প্রেসক্লাবের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু আগে থেকেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রেস্ট হাউসে উঠেই চলে গানের পর্ব। সুমধুর কন্ঠে গান পরিবেশন করে প্রথমে সাংবাদিক নাছির উদ্দিন এর পর রণজিত ধর, রাজিব মজুমদার, রিপন গোপ পিন্টু, সহ আরো অনেকে তাদের সাথে সুর মিলায় এম.ইমাম হোসেন, কামরুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, সৈয়দ আজমল সহ অনেকেই। তার সাথে চলে ফেসবুক লাইভ টেলিকাস্ট। গানের পর্ব শেষ হলেই চলে দুপুরের খাওয়ার পর্ব। আমাদের জন্য আগে থেকেই আমাদের জন্য ১০০ জনের খাবার তৈরি করে রেখেছেন। রামগড় রেষ্ট হাউজে আমাদের মাঝে উপস্থিত হন রামগড়ের এসআই ও ওসি মহোদয়। দীর্ঘ সময় মতবিনিময় চলে তাদের সাথে। তারপর সিনিয়র সাংবাদিকরা দুপুরের খাবার শেষ করেন তাদের সাথে। এরপর শুরু হয় দারুন দারুন কিছু ইভেন্ট। প্রথমে চলে মহিলাদের চেয়ার খেলা, উক্ত চেয়ার খেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন রাশেদা আক্তার, দ্বিতীয় তরীনন্দি এবং তৃতীয় স্থান হালিমা আক্তার। এরপর চলে বাচ্চাদের বি¯ু‹ট খেলা। সেখানে সবাইকে পুরস্কার করা হয়। এরপর হয় সবচেয়ে মজার ইভেন্টটি। অন্ধের হাড়িভাঙা। সভাপতি, সাধারন সম্পাদক সবাই যখন ব্যর্থ সেখানে সবাইকে চমকে দিয়ে হাড়ি ভেঙে চুরমার করে দিলেন প্রথমে রাজিব মজুমদার। দ্বিতীয়তে হয় সৈয়দ আজমল এবং তৃতীয় শরীফ উদ্দিন শিবলু। এরপর সুমধুর কন্ঠে তাছনিম মাহবুবাহ তাহনা আবৃত্তি করেন নির্মুলেন্দু গুনের ’স্বাধীনতা শব্দটি কিভাবে আমাদের হল’। এর পর টেলিভিশন চ্যানেলের নাচে গানে নাম্বার ওয়ান উপজাতি নৃত্যশিল্পীগোষ্টির নৃত্যানুষ্ঠান। খুব সুন্দর নৃত্য পরিবেশন করে তারা মাতোয়ারা করেছে সকলকে। সর্বশেষ প্রেস ক্লাবের সকল সদস্য সম্মিলিত নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর শুরু হয় পুরষ্কার বিতরনী পর্ব ও সেরা ভাগ্যবান নির্বাচন পর্ব। সেরা ভাগ্যবান হিসেবে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হন রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা।
বিজয়ীদের মূল্যবান পুরষ্কার প্রদানের পাশাপাশি ছিল সান্তনা পুরষ্কারও। পুরষ্কার বিতরনীর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পর্বের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। এর পর বেরিয়ে পড়ি রামগড়ের দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য। একে একে মুক্তিযুদ্ধের ভাষ্কর্য এবং বাংলাদেশের প্রথম বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভে। এরপর উপভোগ করি লেকের সৌন্দর্য। পাহাড়ি নদীর স্্েরাতের মায়া আকৃষ্ট করে আমাদের। এর সবাই ফিরে আছে রেষ্ট হাউসে। তখন সবাই বিকেলের নাস্তা প্রদান করা হয়। নাস্তা পর্ব শেষেই আমাদের আনন্দভ্রমন সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।