বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাই ডিগ্রী কলেজের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে মীরসরাই প্রেসক্লাবের সাথে অধ্যক্ষের মতবিনিময়

নাছির উদ্দিন ঃ
মীরসরাই ডিগ্রী কলেজের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে মীরসরাই প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদেরসাথে এক মতবিনিময় করেন কলেজ অধ্যক্ষ নুরুল আপছার। গত রবিবার ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কলেজের অধ্যক্ষের অফিসে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। এসময় কলেজ অধ্যক্ষ নুরুল আপছার কলেজের বিভিন্ন সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে এবং গভর্নিং বডির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কলেজের সার্বিক ফলাফল ভালো করার জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আসা করেন আগামী দিনগুলোতে কলেজের ফলাফল আর উন্নতি লাভ করবে। কলেজের বর্তমানে এইচএসসি এবং ডিগ্রিতে নিয়মিত এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থী আছে প্রায় ৩ হাজারের অধিক। বর্তমানে ২ বিষয়ে বাংলা এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনাস কোর্স চালু করা হয়েছে। আগামী বছর আর ২-৩ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হবে। এছাড়াও গত বছর থেকে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি এবং বিএ.বি.এসএস প্রোগ্রামের স্টাডি সেন্টার ও পরীক্ষা কেন্দ্র। বর্তমানে কলেজের বড় ধরনের যে সমস্যা তা হল, অবকাঠামোগত সমস্যা। বর্তমানে যে একাডেমিক ভবন রয়েছে তাতে এইচএসসি, ডিগ্রি এবং অনার্স কোর্সের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হয়। তিনি আর বলেন, বর্তমানে কলেজের শিক্ষক রয়েছেন ২৮ জন। এছাড়া অনার্সের জন্য যুক্ত হয়েছেন আর ২ জন। আগমী বছর অনার্সের বিষয় বর্ধিত করা হলে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া হবে এবং তাদের বেতন ভাতাও কলেজ ফান্ড থেকে পরিষোধ করতে হবে। ফলাফলের বিষয়ে তিনি বলেন, মিরসরাই কলেজটি উপজেলা সদরে হলেও যে মানের শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হওয়ার কথা সেমানের শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে না। এসএসসি বা এইচএসসি পাশ করার পরে অনেকে শহরে চলে যায়। তাছাড়া সম্প্রতি এই উপজেলার একটি কলেজ সরকারী করণের ঘোষনা হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ ভালো শিক্ষার্থীগণ সেখানে চলে যাচ্ছে। এছাড়া তিনি আর বলেন, মিরসরাই কলেজটি উপজেলা সদরে হওয়ায় যে মানের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, তা মিরসরাই কলেজের নেই। অথচ উপজেলা সদরের বাইরে কলেজগুলো উন্নত মানের একাডেমিক সুবিধা পাচ্ছে। তিনি আর বলেন, মিরসরাই কলেজটি উপজেলা সদরে হওয়ায় বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সেন্টার করায় এতে বছরের বিভিন্ন সময় কোন শ্রেণি কার্যক্রম করতে পারেন না। যার ফলে কলেজের ফলাফলে বেশি প্রভাব পড়ে। তিনি কলেজের ফলাফল উন্নতির লক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনুরোধ করেন কলেজ ছাড়া অন্যকোন পাবলিক পরীক্ষার সেন্টার যাতে এখানে না করা হয়। বর্তমানে কলেজটির শ্রেণিকক্ষ এবং ক্যাম্পাস এলাকায় সর্ম্পূণ সিসি ক্যামেরায় আওতায় এনে নিয়মিত সব কিছু মনিটরিং করা হয়। তাছাড়া শিক্ষকদের যথাসময়ে উপস্থিতি নির্ধারণে অফিস কক্ষে ডিজিটাল উপস্থিতির (পিঙ্গারিং) ব্যবস্থা করা হয়েছে। মতবিনিময় সভায় আর উপস্থিত ছিলেন, কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা) নাছির উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) নজরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা) মোয়াজ্জেম হোসেন। সংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান পলাশ, সহ-সভাপতি রণজিৎ ধর, আমিনুল হক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাজিব মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউছুফ, প্রচার সম্পাদক নাছির উদ্দিন, প্রকাশনা সম্পাদক আনোয়ারুল হক নিজামী, সাহিত্য সম্পাদক শরীফ উদ্দিন শিবলু, দপ্তর সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইমাম হোসেন, সদস্য সানোয়ারুল ইসলাম রনি, তৌহিদুর রহমান, আবদুল মান্নান রানা।