বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে শেষ মহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

খবরিকা রিপোর্টঃ
আসছে খুশির ঈদ। আনন্দ আর খুশিতে সবাই এখন আত্মহারা। আর সেই আনন্দে সবাই ব্যস্ত এখন ঈদের কেনাকাটা নিয়ে। বড় ছোট সকল মার্কেট/ শপিং মলগুলো ইতিমধ্যে ঝলমল করছে আলোকসজ্বায়। ১৫ রমজানের পর থেকে ক্রেতা বাড়তে শুরু করেছে সর্বত্র। ২০ রমজানের পর মার্কেট ও দোকানগুলোতে এখর উপচে পড়া ভীড়।
মীরসরাইয়ের সর্বাধিক সাজে সজ্বিত এখন বারইয়াহাট। আবার পুরোনো ঐতিহ্যময় মিঠাছরা বাজারে ও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষনিয়। এছাড়া মীরসরাই সদর, আবুতোরাব, বড়তাকিয়া, জোরারগঞ্জ, করেরহাট, শান্তিরহাট, আবুরহাট, বড়দারোগারহাট সহ সর্বত্র ক্রেতাদের সমাগম লক্ষনীয়। সীতাকুন্ড সদর হাটে বেশী ভিড় থাকলে ও বাড়বকুন্ড, কুমিরা এলাকায় ও মানুষের সমাগম দেখা যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের মতো এবার ষ্টার জলসা সিরিয়ালের নায়ক নায়িকাদের কাপড় গতবারের চাইতে কিছুটা কম চলছে। তবে এবার চলছে দেশীয় দীপ্ত চ্যানেল সহ বিভিন্ন দেশীয় নায়ক নায়িকাদের প্রভাব। আবার সাধারন বাঙ্গালী পোশাকের ও আধিক্যতা বেড়েছে এবার। এবার সাধারন সুতি, জর্জেট, জামদানি, বেক্সির নানান বাহারী পোষাকের প্রভাব লক্ষনীয়। প্রাচীন ও পুরোনো ঐতিহ্যবাহি বিভিন্ন পোষাকের ও আধিক্যতা লক্ষনিয়। শিশু কিশোরিদের চাহিদায় আরো থাকছে ফ্রক, গাউন, ডিভাইডার, লেহেঙ্গা ও সালোয়ার কামিজ ইত্যাদি। ওপরে শার্ট আর নিচে জিনস এমন মিশেল পোষাকও চলছে বিভিন্ন দোকানে। মহিলাদের জন্য রয়েছে, সিল্ক, কাতান, জামদানী, শষা জামদানী তশর, মসলিন জামদানী বাহারী শাড়ী।
এদিকে মিঠাছরা বাজারে আল-আমিন শপিং সেন্টারে পোষাক ক্রয় করতে আসা আরেক গৃহিনী পারহানা বেগম জানান এই দোকান আমার বাবার সময় থেকে আস্থা ও ভরসার দোকান। এখানে নিত্য নতুন পছন্দসই সকল কাপড় ও ন্যায্যমূল্যে আমরা স্বাচ্ছন্দবোধ করি। এবার আরো নতুন ভাবে আল আমিনকে সাজানো হয়েছে দেখে আমরা আনন্দিত।
খাজা ক্লথে আসা ক্রেতা কলেজ পড়–য়া আফসানা আক্তার আঁখী বলেন নতুন ফ্যাশনের জন্য আমার পছন্দ এখানে। বারইয়াহাটের লাকি শপিং মলে আসা জনৈক বিউটিশিয়ান তিশা আক্তার জানান, এবার বর্ষা ঋতুর সাথে মিলিয়ে সুতির পাশাপাশি জর্জেট, শিপন ও সিনথেটিক কাপড়ের গাউন, সালোয়ার-কামিজ ও ফ্রক শিশু কিশোরিদের আদর্শ পোষাক হতে পারে। এখানে এমন অনেক কাপড়ের সমাহার দেখছি।
নিল মানবাধিকার উন্নয়ন সংস্থা কেন্দ্রিয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনোয়ারুল হক নিজামী বলেন, এইভাবে প্রতিবছর যদি ভারতীয় কাপড় সহ বিদেশী কাপড় বাজার দখল করে তাহলে বাংলাদেশ বিশাল অংকের টেক্স থেকে বঞ্চিত হবে।
শিশু কিশোর, তরুন তরুনী, প্রবীন নবীন সকলের মধ্যে বেশ ঈদের আমেজ চলে এসেছে ঝলমলে মার্কেট গুলোর ব্যস্ততায়। কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত, কেউ আবার পাশের দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য কিনছে জামা। গ্রামের প্রতিটি হাটে এখন আলোর সজ্বায় ঝলমল করছে অবিরত। সবার দৃষ্টি এখন বস্ত্র বিপনীতেই। পাশাপাশি অন্যান্য কেনাকাটাতে ও ব্যস্ত অনেকে।