শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

করেরহাটের কয়লার রবি’র নেটওয়ার্ক না থাকায় দুর্ভোগে গ্রাহক

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ

মীরসরাই উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়ী জনপদের ১০ বর্গকিলোমিটারের ৮ গ্রামের অন্তঃত অর্ধলক্ষ গ্রাহকের এলাকার রবি নেটওয়ার্কই যোগাযোগ মাধ্যমের একমাত্র ভরসা। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে রহস্যজনকভাবে নেটওয়ার্কবিহীন হয়ে পড়ায় এলাকাবাসীর দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে বলে স্থানীয় সাধারন মানুষ গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে তাদের ভোগান্তির কথা জানান। এলাকাবাসী জানায় ইতিমধ্যে মুমুর্ষ রোগী, ছোট বড় দোকানী সহ নানান পেশা শ্রেনীর মানুষ সকলে নেটওয়ার্ক বিহীন হয়ে পড়ায় যথেষ্ট ভোগান্তির কবলে পতিত। তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি ও উন্নয়নের মহাসড়কের এই সময়ে উক্ত এলাকার মানুষ যেন ঘোর অন্ধকারে পতিত হয়েছে বলে জানায়।

মীরসরাই উপজেলার করেরহাটের পাহাড়ী জনপদ কয়লার পশ্চিম সোনাই বাজারের বিকাশ ও ইজি লোড দোকানী রাসেল, মুদি দোকানদার জয়নাল আবেদিন সহ এলাকাবাসী জানায় এই এলাকায় কয়লা, সোনাই, রহমতপুর, ইসলামাবাদ, সুজা পাড়া সহ অন্তঃত ৮ গ্রামে ২০ হাজার মানুষ রয়েছে। বিকাশ, রকেট সহ নানা প্রয়োজনে একেক জনের কয়েকটি করে সীম ব্যবহার করছে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে উক্ত রবির নেটওয়ার্ক নেই। তাই সকলেই অচল এখন । এতে রবি নেটওয়ার্ক নির্ভর বিকাশ, রকেট ও ইজি লোড অন্তঃত ১৫টি দোকানীর মাথায় হাত। তাছাড়া ছোট বড় দোকানীরা, পেশাজীবিরা ও বিভিন্ন পরিবার কেউ দেশে বিদেশে কোথাও আর যোগাযোগ করতে পারছে না। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডাঃ আবুল বশর জানায় আগে অসুখে রোগাক্রান্ত হলে রোগীরা আমায় ফোনে কল করে সাহায্য চাইতো। কিন্তু এখন কয়েক কিলোমিটার দূরের কোন মূর্মূর্ষ রোগী কেউ পায়ে হেটে এসে খবর দেয়া ছাড়া জানার উপায় নেই। আবার এক রোগীর বাড়ী গেলে অন্য রোগির লোক দোকানে এসে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে করে বেড়ে গেছে জনদূর্ভোগ। স্থানীয় সমাজ সচেতন ব্যাক্তি আবছার চৌধুরী জানায় সময়ের প্রয়োজনে মোবাইল নেটওয়ার্ক এখন অতি জরুরী প্রয়োজনীয় নাগরিক অধিকার। কিন্তু এলাকাবাসীর এমন দূর্ভোগে সকলেই যেন এখন আতংকিত। এলাকায় চুরি ডাকাতি বা কোন অঘটন ঘটলে ও প্রশাসনের সহযোগিতা চাইতে ফোন করার উপায় নেই।

এই বিষয়ে রবি অপারেটরের এই এলাকার এরিয়া ব্যবস্থাপক মহিবুল ইসলাম রিয়াদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখানে কিছু চাঁদাবাজ দুস্কৃতিকারীদের খপ্পরে পড়ে লোকসান গুনতে হওয়ায় আমরা এই এলাকার টাওয়ারটি সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবছি। তাই সাময়িকভাবে নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শীঘ্রই এর বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান। এই বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে একদিকে এলাকাবাসী কর্তৃক দায়িত্বরত প্রহরীর তেলচুরির অভিযোগ, অন্যদিকে রবির কর্তব্যরত ব্যক্তিগন টাওয়ার মেনটেইনেন্স ও মনিটরে এলে চাঁদাবাজির স্বীকার হবার পরস্পরবিরোধী অভিযোগ পাওয়া যায়।

তবে এলাকাবাসীর পক্ষে এই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মহিউদ্দিন মেম্বার গনমাধ্যম কর্মীদের জানান আমরা নিজেরাই প্রয়োজনে রবি অপারেটরের সকল কর্মকর্তাদের সকল প্রতিকূলতায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে চাই । আর তার বিনিময়ে আমরা এলাকাবাসীর ভোগান্তির অবসান চাই।