শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে রথযাত্রায় হাজারো মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়। আজ (১৪ জুলাই) বিকাল ৫টায় মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি, শান্তি ও মৈত্রীর পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য তিনি বিগ্রহ গণউৎসব শান্তি ও মৈত্রীর মিলনলগ্নে মন্দির ছেড়ে রাজপথে সবাইকে দর্শন দানের জন্য বেরিয়ে আসেন। বর্ণাঢ্য রথযাত্রায় শত শত নরনারী দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দ অংশগ্রহণ করে। জোরারগঞ্জ ছাড়াও মীরসরাইয়ের আবুতোরাব, মিঠাছরা, মীরসরাই সদরে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রথযাত্রার বিষয়ে মীরসরাই পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ সরকার ও জোরারগঞ্জে ব্যবসায়ী বাবুল সেন জানান, একবার শ্রীকৃষ্ণ বলরাম ও সুভদ্রাদেবী সূর্যগ্রহণের সময়ে কুরুক্ষেত্রে পঞ্চতক তীর্থে স্নান করতে যান। এখনো কুরুক্ষেত্রে সূর্যগ্রহণের সময় স্নান করতে বহু পুণ্যার্থী গমন করেন। পাঁচ হাজার বছর আগে শ্রীকৃষ্ণ দ্বারকা থেকে গিয়েছিলেন কুরুক্ষেত্রে। কৃষ্ণ তখন রথে উঠে বলেছেন, তিনি কুরুক্ষেত্র থেকে তার রাজধানী দ্বারকায় ফিরে যাবেন। সাথে রয়েছেন শ্রী বলরাম ও সুভদ্রা। চারপাশে রাজপুরুষ ও সৈনিক। কৃষ্ণের পরিধান গোপবেশের পরিবর্তে রাজবেশ। হাতে বাঁশির পরিবর্তে ধনুর্বাণ, কোমরে তলোয়ার, সাথে বর্ম ও মাথায় মুকুট। কৃষ্ণকে এভাবে দেখে গোপীদের মন ভরল না। বিশেষ করে রাধারানী বললেন, এই কৃষ্ণ সেই কৃষ্ণ নয়, যাকে আমরা চিনতাম, বৃন্দাবনের বনে বনে আমাদের সাথে যিনি লীলা খেলা করতেন। সেই কৃষ্ণের মাথায় ময়ূরের পাখা, তার পরনে পীত বসন; গলায় বনমালা এবং হাতে বাঁশি। অথচ এ কৃষ্ণের পরনে রাজবেশ। রাধারানীর মনোভাব বুঝতে পেরে ব্রজবাসীরা কৃষ্ণের রথের দড়ি আর ঘোড়াগুলো ধরে টানতে টানতে নিয়ে চললেন বৃন্দাবনের দিকে। বলরাম, ব্রজবাসীদের শৈশবের ও কৈশোরের সাথী, তাকেও তারা রথে চড়ালেন। সুভদ্রা কৃষ্ণের বোন; তাকেও তারা নিয়ে চললেন। জগন্নাথপুরীর এ রথযাত্রাটি হচ্ছে গোপীদের সেই কুরুক্ষেত্র রথযাত্রা দ্যোতক। রথের সময় জগন্নাথ বা কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া হয় নীলাচল থেকে সুন্দরাচলে। সেখানে কৃষ্ণ ব্রজবাসীদের সাথে আট দিন ছিলেন। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু ভাবতেন, কৃষ্ণ কতদিন ধরে তোমাকে দেখতে চেয়েছি। আর এখন তোমাকে দর্শন করছি। তিনি আরো বলেন, রথযাত্রা উপলক্ষে জোরারগঞ্জে শত শত নরনারী দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে।