নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
মীরসরাইয়ের আলোচিত যুবলীগ নেতা মোস্তফার হত্যা মামলার প্রধান আসামী নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে কুমিল¬া জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার নবগ্রাম থেকে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জোরারগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার সকাল ১১টায় থানা কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে থাকে হাজির করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন জোরারঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল কবির। এসময় সঙ্গে ছিলেন ওসি তদন্ত আনোয়ার উল¬্যা ও সেকেন্ড অফিসার এসআই বিপুল চন্দ্র দেবনাথ। এসময় নিহত মোস্তফার স্ত্রী, কন্যা ও পুত্র সন্তানও উপস্থিত ছিলেন।
এরপূর্বে গত ১১ মে বারইয়ারহাট ইসলাম মার্কেট থেকে খুনি নাছিরের সহযোগি বাহার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে বাহার উদ্দিনকে (২৩) উদ্দিনকে গ্রেফতার করলে হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়। সে সময় বাহার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা বলে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি দেয়।
এদিকে সাংবাদিকদের সামনে খুনি নাছির অপকটে খুনের দায় স্বীকার করে বলে, “আমার পরিবারকে ভিটা থেকে উচ্ছেদ ও আমার মায়ের উপর বর্বর নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে আমি একাই মোস্তফাকে খুন করি।” “এখন আমার আর কোন দুঃখ নাই আদালত যে শাস্তি দেবে আমি তা মাথা পেতে নিব।” ওসি জাহিদুল কবির জানান, এঘটনায় ওই এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীর ও জামালের প্রতিও নাছিরের ক্ষোভ ছিলো। তাদেরকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মোস্তাফাকে খুন করে বলে নাছির স্বীকার করে। আমরা এ মামলার তদন্তকাজ অনেকটা এগিয়েছি। ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি। খুব শীঘ্রই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হবে।
এসময় নিহত মোস্তফার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমীন পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামীর খুনিরা গ্রেফতার হয়েছে এতেই আমি খুশি এবং আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
প্রসঙ্গত ঃ গত ৭ মে গভীর রাতে ১নং করেরহাট ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের স্ত্রী নিলুফা ইয়াছমিন বাদী হয়ে নাছির উদ্দিন ও নুর মোহাম্মদসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আাসমী করে একটি হত্যা মামলা (১৪) দায়ের করেন।