বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে টাকা নিয়ে বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের অভিযোগ

20284

 

নিজস্ব প্রতিবেদক  ঃ আগামী ৪জুন অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আর মিরসরাই ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে ৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রহস্যজনকভাবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে জনমনে বিরাজ করছে ক্ষোভ। আবার অভিযোগ উঠেছে মিরসরাইয়ে আ.লীগ প্রার্থীর সাথে আঁতাত করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের। গতকাল মঙ্গলবার ( ২৪ মে) মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বিষয়টি জানায়।
উপজেলার ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল আলমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে খোদ বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা।
অভিযোগ আছে ধানের শীষের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল আলম ঐ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।  এতে করে বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা হতাশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কঠিন শাস্তি প্রদানের দাবী উঠে।
এ বিষয়ে ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন  গতকাল মঙ্গলবার ( ২৪ মে) স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান একজন বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের কারনে কারো কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না বিএনপি নেতাগন তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন উপজেলা  ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আমজাদ হোসেন তুহিন এবং মহিউদ্দিন আহমেদ সহ আমাদের কাছে এর সকল প্রমানাদি ও রয়েছে।  এই বিষয়ে দলীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন প্রয়োজন।  আবার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন দলের ক্রান্তিকালে কেউ টাকা নিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে দলের জন্য খুবই দুঃখ জনক, এতে করে আমাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা হতাশ হয়েছেন। তিনি এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য দলের জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান। আবার এই বিষয়ে অভিযুক্ত  বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি  বলেন এটি সম্পুর্ণ মিথ্যা। তিনি বলেন আমার ইউনিয়নের কিছু নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি।