বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে জেল থেকে বেরিয়ে জ্বীনের বাদশার বাদিকে হত্যার হুমকি

mail.google.com
মীরসরাই প্রতিনিধি : মীরসরাইয়ের কথিত জ্বীনের বাদশা প্রতারনার অভিযোগে ২ মাস কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জোরারগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের মোস্তফার ঘরে হামলা করে সে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করায় আনোয়ারা বেগম নামে এক মহিলাকে বেদম মারধর করে। বর্তমানে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ি ছাড়ার উপক্রম হয়েছে মোস্তফার।
ভুক্তভোগী মোস্তফা জানান, জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার পরিবারের লোকজনকে সে জিম্মী করে রাখে। তার প্রতারণার শিকার হয়ে আমার পরিবারসহ আজমনগর গ্রামের শত শত মানুষ এখন নিঃস। গত ২৪ জুলাই প্রতারণার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আমার বাড়ির লোকাজনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। তার বিরুদ্ধে মামলা করার কারণে আমার বোন আনোয়ারাকে মারধর করে সে। তার স্বামী ও ৮ সন্তান তাকে বাড়ি নিয়ে এলে সে বাড়ি গিয়ে আবার পরদিন চলে এসে আমাদের হত্যার হুমকি দেয়। আমি এখন পরিবারের লোকজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করি।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে জ্বীনের বাদশা সেজে নিলিমা আক্তার রুমা উপজেলার আজমনগর গ্রামের প্রায় শতাধিক লোক থেকে বিশ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। সে ওই গ্রামের মুর্শিদা আক্তারের কাছ থেকে ৫ ভরি স্বর্ণ, ফাতেমা আক্তারের ২ ভরি, আনিছ সওদাঘরের ২০ হাজার টাকা, ছুফিয়া খাতুনের ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া অনেকে টাকা দিয়ে এখন লজ্বায় বলছেন না এমন লোক পাওয়া যায় অগনিত। শুধু তাই নয় গত ৩মাস পূর্বে জ্বীনের ভয় দেখিয়ে ওই এলাকার মোস্তফার ঘরে দখল নিয়ে সেখান থেকে একে একে সকল ভাইয়ের পরিবারকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করে।
জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের বদিউর রহমান চৌধুরী বাড়ীর আলী আকবরের মেয়ে লীলিমা আক্তার রুমার সাথে ১৯৮৫ সালে ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ী ইকবাল আজাদের সাথে বিয়ে হয়। ওই সংসারে তার আটটি ছেলে মেয়ে রয়েছে। গত সাত মাস পূর্বে রুমার সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের বেলাল হোসেনের। আবার তার স্বামী ইকবাল আজাদকে মৃত বলে একটি বিবাহ কাবিন ও রেজিষ্ট্রি করে রুমা আর বেলাল। অথচ সে তার স্বামী জীবিত রয়েছে।
ভূক্তভোগী আনোয়ারা বেগম বলেন, এই মহিলার অত্যাচারে আমাদের পরিবারের লোকজন বাড়ি ছাড়া হয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে এসে সে আমাকে মারধর করে। সে জ্বীনের ধমক দিয়ে সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী হত্যার হুমকির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরীর হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। তিনি বলেন, ওই মহিলা প্রতারনায় মামলায় দীর্ঘ সময় কারভোগের পর জামিনে বেরিয়ে আসে।