শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইতে প্রেমিকপক্ষের দুজনকে থানায় ধরে আনায় বাদী বাবার বিরুদ্ধে বাদী হলো প্রেমিকা ধর্মান্তরিত কন্যা

মীরসরাই প্রতিনিধি: মীরসরাইতে ধর্মান্তরিত এক প্রেমিক যুগলের বিরুদ্ধে প্রেমিকার বাবা অপহরণের অভিযোগ দিয়ে গতকাল (১০জুন) বৃহ¯প্রতিবার সকালে প্রেমিক পক্ষের দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে এলে উল্টো বাদি বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানির অভিযোগ দিলেন ধর্মান্তরিত প্রেমিকা কন্যা।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধিন জোরারগঞ্জ গ্রামের বড়ুয়া পাড়ার সতীশ মাষ্টার বাড়ীর দুলাল চন্দ্র বড়ুয়ার যুবতী কন্যা লাভলী রাণী বড়ুয়া (২৪) এর সাথে দীর্ঘদিন প্রেম চলছিল বারইয়াহাটের যুবক নুরুল আলম রুবেল (২৭) এর সাথে। লাভলী রানী বড়ুয়া চট্টগ্রাম সিটি কলেজের এমএসসির মেধাবী ছাত্রী। আবার রুবেল বারইয়াহাটের একজন দোকানদার। প্রেমের সূত্র ধরে গত ৯জুন বুধবার সকালে লাভলী বড়ুয়া জোরারগঞ্জের গ্রামের বাড়ী থেকে তার ব্যবহারের সকল মালামাল নিয়ে দুজন অজানার উদ্যেশ্যে পাড়ী দেয়। এর মধ্যে বুধবারেই লাভলী ধর্মান্তরিত হয়ে বৌদ্ধ ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। এবং দুজন বিয়ে করে কক্সবাজার চলে যায়। ইতিমধ্যে পরদিন ১০জুন বৃহ¯প্রতিবার মেয়ের বাবা দুলাল বড়ুয়া এই খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানায় এসে ১৭ ভরি স্বর্ণ নিয়ে মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করেছে বলে মামলা দায়ের করলে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ রুবেল এর সোনাপাহাড়স্থ বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তার ভাই ফয়সাল ও ভগ্নিপতি কামরুল কে থানায় ধরে নিয়ে আসে। এই খবর পেয়ে লাভলী বড়ুয়া কক্সবাজারে হানিমুনে অবস্থানকালীন থেকে দ্রুত জোরারগঞ্জ থানায় এসে উল্টো পিতার বিরুদ্ধে তার স্বামীর পরিবারকে মিথ্যা হয়রাণির অভিযোগ করে। লাভলী বড়ুয়া এসময় দাবী করে আমি স্বাবালিকা এবং স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়েছি ও রুবেলকে বিয়ে করেছি। সে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার স্বামীর পরিবারকে হয়রানির জন্য উল্টো পিতার বিচার দাবী করেন সংবাদকর্মীদের কাছে। কিন্তু তখন তার সাথে তার স্বামী রুবেল থানায় আসেনি। এই বিষয়ে লাভলী বড়ুয়া বলে আমার স্বামীর নিরাপত্তার জন্য তাকে সাথে আনি নাই। এই বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জোরারগঞ্জ থানার এস আই নাজমুল হাসান জানান বাদী দুলাল চন্দ্র নাথ স্বর্ণালংকার সহ অপহরণের অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এখন বাদীর বিরুদ্ধে তার মেয়ের পাল্টা বক্তব্যের দরুন ডেকে পাঠিয়েছেন। কিন্তু বিকেলে এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বাদী পিতা দুলাল চন্দ্র এখনো জোরারগঞ্জ থানায় পৌছায়নি। এস আই নাজমুল আরো স্বীকার করেন যে আটককৃত ভাই ও দুলাভাই প্রকৃতপক্ষে নির্দোষ।