বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইতে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি

mirsori chobi
খবরিকা ডেস্ক :: মীরসরাই উপজেলার সর্বত্র টানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে উপজেলার সর্বত্র নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী, ক্ষেত খামার সবই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মীরসরাই পৌরসভার গোভানিয়া ফেনাফুনি গ্রামটি এখন পানির নিচেই বলা চলে। এই গ্রামের ঘরবাড়ী এখন রাস্তাঘাট সবই এখন পানির নিচে। এই গ্রামের অন্তত ৫ শত পরিবার এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি সবই পানির নিচে।

পুরো উপজেলায় বর্তমানে হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি জলাবদ্ধ হয়ে দূর্যোগপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। ভেঙ্গে যাওয়া নিজামপুর রেল ষ্টেশন সড়ক টানা দুইদিনের প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে ভেঙ্গে ধ্বসে যায়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে কাঁচা,পাকা,আধাপাকা রাস্তাসহ গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় যানবাহন ও জন চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। কোন কোন অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে বহু মৎস্য ঘের ও পুকুরের মাছ।
দুইদিনের টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ওসমানপুর,ইছাখালী, কাটাছড়া, সাহেরখালী, ধুম মিঠানালা, ওয়াহেদপুর ও মঘাদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প¬াবিত হয়েছে। খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ফেনাপুনী গ্রামে পানিবন্দী হয়ে জীবন যাপন করছে শতাধিক পরিবারের লোকজন। অপরদিকে, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে পাহাড় ধ্বসের আতংক, আশংকা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে পাহাড়ী এলাকা করেরহাট, খৈয়াছড়া, ওয়াহেদপুর, জোরারগঞ্জ, মীরসরাই সদর ইউনিয়নের পাহাড়ী-বাঙালীসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষের পরিবার।
পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে গেছে উপজেলার জনবহুল ও গুরুত্বপুর্ণ নিজামপুর রেল ষ্টেশন সড়ক। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। প্রবল বর্ষা আর পাহাড়ী ঢলে সড়কের একটি অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী প্রায় ১০ হাজার মানুষ। গত বছর বর্ষা মৌসুমে সড়কটি ভেঙ্গে গেলে এলাকার লোকজন কোনমতে বাঁশের সাঁেকা দিয়ে করেছে। কিন্তু এবারের বর্ষায় সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মানুষ চলাচল করতে পারছেনা।
মীরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান বলেন আমি নিন্মাঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্থদের বিষয়ে গৃহায়ন ও গনপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর সাথে পরামর্শ করে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো শীঘ্রই।
মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন আমি ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে গিয়েছি। সকলের দূর্ভোগ লাঘবে তিনি প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে বিভিন্ন উদ্যোগ নিবেন বলে জানান।