বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইতে আদিবাসী দিবসে সাংবিধানিক অধিকার বিষয়ক সেমিনার

3434নিজস্ব প্রতিনিধি : মীরসরাইতে আদিবাসী ফোরামের উদ্যোগে দিবসব্যাপি বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। গত (২৯ জুলাই ) বুধবার মীরসরাই বালিকার উচ্চ বিদ্যালয় মিলায়তনে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানের প্রথম সেশন সেমিনার সকাল ১০টা থেকে থেকে শুরু হয়। চট্টগ্রাম জেলা আদিবাসী ফোরামের সভাপতি শান্তি কুমার ত্রিপুরার সভপতিত্বে ও ফুল কুমার ত্রীপুরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার কাকলি। সেমিনার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন। সেমিনারে প্রথম সেশনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সভাপতি বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম চট্টগ্রাম জেলা শরৎ জ্যোতি চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম শক্তি পদ ত্রিপুরা, মীরসরাই থানার ওসি ইমতিয়াজ এম. কে ভূঁইয়া, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক পরিচালক এনায়েত হোসেন নয়ন, মীরসরাই সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুবুর রহমান পলাশ, সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব আবদুস সালাম, মীরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ। এই সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম মীরসরাই শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মতি ত্রিপুরা। বক্তাগন বলেন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিষেশ ভুমিকা রাখেন পাহাড়ি আদিবাসী জনগোষ্ঠী। যুদ্ধের পরে মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সমতল ভুমির কিছু মানুষ নির্যাতন করছে। এই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন উচ্চ স্থান গুলোতে আদিবাসী মানুষ গুলো পৌছে গেছে। তাদের জীবন যাত্রার মান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। পড়ায় লেখায় শিক্ষা দিক্ষায় আদিবাসীরা এখন অনেক উন্নত। বিশেষ করে শহরে যারা বসবাস করে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সকল সুবিধা অসুবিধায় আমি উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা হিসাবে এগিয়ে আসব। তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক নাগরিককে অবশ্যই রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলতে হয়। আদিবাসী মানুষগুলো খুব অল্প বসতিপূর্ণ বলে আর খুব নিরীহ বলে তাদের উপর বেশি আক্রমন করে। এক্ষেত্রে আদিবাসীদের ও তাদের অধিকার আদায়ে ও নিজেদের রক্ষা করতে এক হয়ে কাজ করতে হবে। ওসি ইমতিয়াজ ভ’ঞা বলেন আদিবাসী মেয়েদের উপর নির্যাতন করার প্রধান কারণ হলো আদিবাসীরা বাংলা মদ তৈরি করা। এই মদ কিনতে বা খেতে সমতল ভুমির কিছু অসাধূ মানুষ আদিবাসী পল্লীতে যায় এবং তারা এই কাজ গুলো করে। আদিবাসীদের উপরে যে এই অপবাদ উঠে আছে এটা তাদের নিজেদের দুর করতে হবে। তিনি তাঁর পক্ষ থেকে আদিবাসীদের সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ আদিবাসীদের ভুমি ও সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি সাধন চন্দ্র ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তাপস হোড়, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা অঞ্জলি ত্রিপুরা সহ অনেকে।