শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইতে অবশেষে বহিস্কৃত হলেন সেই শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিনিধি :: মীরসরাই উপজেলায় এক প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌনহয়রানীর অভিযোগ উঠার পর তা প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হবার পর উক্ত শিক্ষককে অবশেষে বহিস্কার করলেন চট্টগ্রামের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। মীরসরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রহমান শনিবার ( ১২ নভেম্বর) স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে উক্ত শিকের বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
mirsarai-sishu-hoyrani-01-copy
মীরসরাই উপজেলার ধূম ইউনিয়নের উত্তর নাহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক বিধান চন্দ্র দে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিার্থীদের যৌন হয়রানি করছিল। ৫ কন্যা শিশু শিার্থী ও অভিবাবকদের প্রদান করা অভিযোগের প্রেেিত মীরসরাই উপজেলা শিা অফিসার গোলাম রহমান বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অভিবাবকদের শান্ত করতে তাৎক্ষনিক উক্ত শিক্ষককে উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের বদিউল্লাহ পাড়া বিদ্যালয়ে বদলী করেন। উক্ত ঘটনার পর চট্টগ্রামের জেলা শিা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করেন। অতঃপর প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হবার পর তিনি অভিযুক্ত শিক্ষককে শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৯৮৫ এর বিধি ১১ মোতাবেক সাময়িক বহিস্কার ও বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন। মীরসরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রহমান গতকাল শনিবার ( ১২ নভেম্বর) স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে উক্ত শিক্ষকের বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উক্ত বহিস্কারাদেশ এর পর উক্ত বিদ্যালয় এর অভিবাবক ও শিশু শিক্ষার্থীদের অনুভূতি জানতে চাইলে সকলেই বলে এমন শিকের বিচার হয়েছে জেনে আমরা আনন্দিত। আমাদের সমাজে আর কোন মেয়ে শিশু যেন এভাবে যৌন হয়রানির শিকার না হয় এটাই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে জানান জনৈক অভিবাবক নুর উদ্দিন।
উল্লেখ্য যে, বুধবার ( ২ নভেম্বর) নাহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিশুরা তাদের শিক্ষক বিধান চন্দ্র দে এর বিষয়ে অভিযোগে জানিয়েছিল উক্ত শিক তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে প্রায়ই যৌন হয়রানী করতো। আবার কাউকে বলে দিলে পরীায় ফেল করিয়ে দেবার হুমকী দিতো। অবশেষের শিশুরা বিষয়টি তাদের মা বাবাকে জানালে অভিবাবকরা একত্রিত হয়ে মীরসরাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম রহমান এর কাছে এলে ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের দৃষ্টিগোচর হয়েছিল।