বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের নবীন বরণ ও বনভোজন সম্পন্ন

নাছির উদ্দিন ঃ
মীরসরাইয়ের মহামায়া পর্যটন এলাকা। যার একপাশে রয়েছে মিঠা পানির লেক। অন্যপাশে সবুজ ঘাসে বিছিয়ে থাকা বিশাল প্রান্তর। উঁচু নিচুর পাহাড় ঘেরা ঝাউবনের পাশে থাকা বৃস্তিত মাঠ। লেকের ধারে রয়েছে সারি সারি নৌকা। এই নৌকা বেয়ে জলরাশি উপভোগ করার মজাটাই আলাদা। প্রকৃতির সাথে আলিঙ্গন করে কলেজের শিক্ষার্থীরা নাচে-গানে আর হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠে নবীন বরণ ও বনভোজন উৎযাপন করল মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজ ।

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী সকাল থেকে মীরসরাইয়ের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীট মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির নবীণ বরণ, বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেলে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে ১ম পর্বে ছিল আলোচনা সভা। এতে কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আজমল হোসেনের সঞ্চালনায় অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস রহমান আইডিয়াল স্কুলের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান সমু। মীরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সহ-সভাপতি শাখাওয়াত উল্লাহ রিপন, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মো. জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ দিদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল হোসেন, বারইয়ারহাট পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস রহমান ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য মীর আলম মাসুক, বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র ভিপি নিজাম উদ্দিন, ৮ নং দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ফরিদ আহমদ আরজু, ৯নং মীরসরাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দিদারুল আলম, প্রমুখ।

এসময় নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে অনুষ্ঠানের দি¦তীয় পর্বে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনার গান ও নৃত্যপরিবেশনায় মাতিলে তুলে উপিস্থিত দর্শকদের করা হয়। পরে র‌্যাফলে ড্র’র আয়োজন করা হয় এতে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনেকটা ভিন্নধর্মী এই নবীন বরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন জানান, ‘সারাদেশ থেকে মানুষ এখানে আসে বনভোজনে। আমাদের মীরসরাইয়ের এসব পর্যটন এলাকা রেখে আমরা কেন বাইরে যাবো? এছাড়াও বাইরে গেলে সকল শিক্ষার্থী হয়তো আর্থিক, সামাজিক এবং পারিবারিক কারণে যেতে পারবে না। আমি চাই আমার কলেজের যেসকল শিক্ষার্থী আছে, তাদের সবাইকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে। তাই কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে প্রকৃতির সাথে মিলিত হয়ে আনন্দ করতে ভিন্নধর্মী এই আয়োজন’ এদিকে অনুষ্ঠানে স্কুল ও কলেজ শাখার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।