শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ভালবাসার দিনে মহামায়ায় ভোগান্তিতে পর্যটকরা

Mahamaya Picture 1

তিলক বড়ুয়া : এমনিতে ছুটির দিন। তার ওপর বাড়তি একটি উপলক্ষ। আশাই করা গিয়েছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক মিরসরাইয়ের মহামায়াতে বইবে প্রাণের জোয়ার। সকালের ভীড়টা আশানুরূপই ছিল। কিন্তু বেলা বাড়তে বাড়তে মহামায়া হয়ে উঠে লোকারণ্য। প্রেমিকযুগলরা ছাড়াও এদিন এখানে বেড়াতে আসে বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। কেউ কেউ আসে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন পার্শ্ববর্তী ফেনী, ফটিকছড়ি, খাগড়াছড়ি থেকে। তবে ভালবাসার দিনে ভালবাসার আনন্দকে ছাপিয়ে গেছে মহামায়া পর্যটনের গণ-শৌচাগারের অভাবে পর্যটকদের ভোগান্তি। শৌচাগারের অভাবে পর্যটকরা জঙ্গলে ও বিভিন্ন নির্জন জায়াগায় গিয়ে অনভ্যস্থভাবে প্রাকৃতিক কাজ সারানো নিয়ে বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ তীব্র সমালোচনা করেছেন মহামায়া প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের। অনেকে মহামায়ায় এসেছেন প্রথমবারের মতো। তাদের মতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেককে ঘিরে যে পর্যটন স্পট গড়ে উঠেছে তাতে দর্শনার্থীদের জন্য শৌচাগার নেই এটি রীতিমত অবিশ্বাস্য।

ফটিকছড়ি থেকে আসা উজ্জ্বল চাকমা বলেন, “ইতোপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মহামায়া সম্পর্কে জেনে এখানে আসতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু এখানে এসে প্রাকৃতিক কাজ সারানোর কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় অবাক হয়েছি। ভবিষ্যতে এখানে আসার আর কোনো ইচ্ছাই নেই।”
ফেনী থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা ডা. আনোয়ারুল হক জানান, মহামায়ায় আগে কখনো আসা হয়নি। ভালবাসা দিবসে তাই এখানে সপরিবারে বেড়াতে আসা। শৌচাগারের অভাবে এমন বিদ্ঘুটে পরিস্থিতিতে পড়তে হবে জানলে এখানে আসতাম না। শুধু ভালবাসা দিবস কিংবা বছরের অন্যান্য বিশেষ দিনগুলোতেই নয়, প্রায়শই এখানে এসে ভোগান্তিতে পড়েন দর্শনার্থীরা। সেই ভোগান্তির কবল থেকে বাদ পড়েননি সমাজের গণমান্য ব্যক্তিবর্গরাও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এরা বিভিন্ন সময় গাছতলায় কিংবা গভীর জঙ্গলে গিয়ে প্রাকৃতিক কাজ সারার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, বিগত ২০১০ সালের শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামায়া প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি মহামায়া সেচ প্রকল্পের পাশাপাশি একটি আদর্শ পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলারও প্রতিশ্র“তি দেন।
পর্যটকদের ভোগান্তির বিষয়ে মহামায়া প্রকল্পের জনৈক ইজারাদার ও ৮নং আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক এস এম সেলিম দুঃখ প্রকাশ করে জানান, পর্যটকদের জন্য অস্থায়ী শৌচাগার করা হয়েছে যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবে শীঘ্রই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।