বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বৈশাখের সাজে দুবাইয়ে আনন্দের হাট

কামরুল হাসান জনি, দুবাই

mela -s

পহেলা বৈশাখের আয়োজন নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সবুজ পাঞ্জাবি পরিহিত কন্স্যুলেটের একদল কর্মকর্তা। অন্যদিকে মেলায় স্টল বরাদ্ধ পাওয়া বিভিন্ন সংগঠন নিজেদের মতো করে হরেক রকম ব্যানারে কন্স্যুলেট প্রাঙ্গণে সাজিয়ে নেয় ভিন্ন ভিন্ন স্টল। ‘আজ নগদ কাল বাকী’, ‘কুটুম বাড়ি’, ‘বৈকালী’ নামে সাজানো স্টলগুলো সংযুক্ত আরব আমিাতের দুবাই কন্স্যুলেটের বৈশাখী মেলায় যেন বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছে। এগুলো ছাড়াও মেলায় স্থান পেয়েছে বাঙালী পিঠা, বস্ত্র ও রকমারি পণ্যের আরো চল্লিশটি স্টল। অপেক্ষার সময় পেরিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় কন্স্যুলেটের নিজস্ব ‘কুটুম বাড়ি’  স্টলের সামনে সম্মিলিত ভাবে দাঁড়িয়ে লাল ফিতা কেটে বর্ণাঢ্য বৈশাখী মেলা ও উত্সব ১৪২১ এর উদ্বোধন করেন দুবাইয়ে নিযুক্ত কনস্যাল জেনালের মাসুদুর রহমান।

বিকেল বেলা জনসমাগম কম হলেও মেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে নারী-পুরুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে ছিলো নানান প্রতিযোগিতার আয়োজন। প্রতিযোগিতা শেষে দেয়া হয় মধ্য বিরতি। বিরতি শেষে সন্ধ্যার সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু পূর্বেই সময় যত বাড়ে ততই মেলার আগত দর্শনার্থীর ভিড়ও বাড়তে থাকে বহুগুণ। আরো কিছু সময় পার করে কন্স্যুলেটের কর্মকর্তাদের যৌথ পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক উৎসবের সূচনা হয়। এরপর একে একে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব দুবাই, মহিলা সমিতি দুবাই, বাঁধন থিয়েটার ও ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশনের শিল্পীরা বাংলার চিরাচরিত গান আর নৃত্যে উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন মধ্যরাত পর্যন্ত। এছাড়াও সাংস্কৃতিক পর্বে বিশেষ আকর্ষণ ছিলো ড. তানভীর, শস্পা ও মাসুমের মন-মুগ্ধকর পরিবেশনা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা ভাইস কনস্যাল আবু আসরিফ মাহমুদ বলেন, দুবাই কন্স্যুলেটের আজকের আয়োজন বিগত দশ বছরকে ছাড়িয়ে গেছে। এতো জনসমাগম হবে এমনটা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পাওয়া হয়ে গেলো।

প্রথম সচিব (শ্রম) একেএম মিজানুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আমার যথেষ্ট চেষ্টা করেছি পরবাসে থাকলেও বাঙালির আপন সংস্কৃতিকে প্রবাসীদের মাঝে সমানভাবে ভাগ করে দিতে। আমার মনে হয় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়নি।

ভাইস কনস্যাল আবু আসরিফ ও মিসেস মনিরার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর ড. মাহমুদুল হক, প্রথম সচিব (শ্রম) একেএম মিজানুর রহমান, ভাইস কনস্যাল কৃর্তী চাকমাসহ কন্স্যুলেটের কর্মকর্তাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথি, বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারাসহ প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত থেকে বৈশাখী উৎসব উপভোগ করেন।