শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বিদ্যুতের দাম কমবে বাজারমূল্যের চেয়ে

মাটির উর্বরতার জন্য জমিতে বেশি বেশি জৈব সার ব্যবহার বাড়ানো দরকার বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদরা। তারা বলেন, জৈব সার ব্যবহার না করার কারণে দেশের প্রায় ৬২ শতাংশ আবাদি জমি অনুর্বর হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া জৈব সার প্রকল্পে কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা। সম্প্রতি মাজিম এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত জৈব সার ব্যবহার ও ফলন বৃদ্ধি বিষয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষিবিদরা এ কথা বলেন। যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে এ কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের উপপরিচালক হেমায়েত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন মাজিম এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মহাপরিচালক শেখ মোগল জান রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার কৃষি অফিসার এ এইচ এম জাহাঙ্গীর আলম, কোম্পানির পরিচালক প্রতীমা চক্রবর্তী, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর এন এইচ ইলিয়াস প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আগে চাষবাস শুধু স্থানীয় জাতের বীজ ব্যবহার করেই করা হতো এবং একই জমিতে বারবার চাষ করারও প্রয়োজন হতো না। তখন কোন ধরনের রাসায়নিক সারের ব্যবহারও করতে হতো না। কারণ, স্থানীয় জাতের ফসলের খাদ্য উপাদানের চাহিদা মিটে যেত মাটিতে মজুদ খাদ্যভাণ্ডার থেকেই এবং পরে যখন এ জমি বিশ্রামে থাকত তখন এ জমি প্রকৃতিগতভাবে পরের ফসলের জন্য চাষ উপযোগী হয়ে যেত। জৈব পদার্থের পচনক্রিয়া এবং খাদ্যভাণ্ডার হয়ে উঠত পরিপূর্ণ। তারা বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এসে গেছে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবিত হয়েছে উন্নত ও শঙ্করজাতের বীজ।
এসব জাতের বীজ নিয়ে চাষ শুরু হওয়াতেই সম্ভব হয়েছে এ বিপুলসংখ্যক জনগণের খাদ্যের জোগান দেয়া। দেখা গেছে, অধিক ফলনদায়ী গাছের খাদ্যের চাহিদাও প্রচুর, যা মাটির মজুদ খাদ্যভাণ্ডারের দ্বারা সংকুলান করা সম্ভব নয়। তাই শুরু হয়েছে রাসায়নিক সারের ব্যবহার এবং দেশের সব জমিতে এ জন্য আনা হলো লাগাতার চাষবাসের আওতায়।

Leave a Reply