বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বিজয়ের বাংলা : পারভীন লিয়া

মাথার উপর বিশাল পর্দার মতো আকাশটা-
যেনো নেমে আসলো, চারিদিকে অন্ধকার,
দরজা জানালা বন্ধ, ষড়যন্ত্রকারীর ফাঁদ,
অধৈর্য্য মানুষের চিৎকারে ভীতু হাহাকারে
ছুটোছুটি করে এদিক সেদিক ভীত মন।

“বিজয়” সেই সব আত্মার শান্তনা-
সেই সব আত্মার চিৎকার, লাল রক্ত মাখা
সবুজ পতাকা উড়াই যাদের প্রাণের বিনিময়ে
আজ স্বরণ করি শ্রদ্ধা ভরে তাদের।

পৃথিবীর বুকে বিবর্ণ চেয়ারে বসে-
বয়োবৃদ্ধ বীরাঙ্গনার পাংশু মুখ, আঁকা ভুরু
কুচিয়ে পিছনে কুপিয়ে মারার দল এখনো জীবন্ত,
এখনো দা কুড়ল নিয়ে পিছন থেকে
এক কুপে মাথা আলাদা করা ভয়ংকর
দস্যুদের দল আমার লাল সবুজের
পবিত্র পতাকায় আঘাত করে কেড়ে নেয় সম্মান।

আহত আত্মার মাঝে বেজে উঠে ধাতু
আর পাথরের ক্ষীণ প্রতিধ্বনি।
বর্ণহীন ওষ্ঠধর, দম্ভহীন ভাঙ্গা চোয়াল
বিভীশীখাময় নরকের উদ্ধেগ উত্তাল ছিলো
সেইদিন চারিদিকে।

আমি চিৎকার দেখি আজো মায়ের, বাবার জন্য,
ভাইয়ের জন্য, মানুষের জন্য।
কত মায়ের উলঙ্গ শরীর, কত বোনের নির্যাতিত
কফিনের মিনিময়ে আমার প্রাণের বাংলা,
লাল সবুজের রক্তাক্ত পতাকা
আজো উড়ে নীল বেদনার আকাশ জুড়ে।

মাগো আমি ঋণী তোমার কাছে–
আমি ঋণী হয়ে থাকবো
সেই সব বিরাঙ্গনার কাছে
যারা দেশের জন্য জীবন্ত লাশ হয়ে আজো
একটু শান্তির অপেক্ষায় রক্ত অশ্রু ঝরায় দিন রাত।।