শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বারইয়াহাটে গ্রীন টাওয়ারের জমির মালিকানা দাবীতে প্রবাসীর সংবাদ সম্মেলন

মীরসরাই প্রতিনিধি :: ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ্ববর্তি মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাটস্থ বর্তমান শপিং কমপ্লেক্স গ্রীন টাওয়ার নির্মানকালীন সময়ে প্রবাসীর জমি দখল করে মালিকানা নিস্পত্তি না করে মার্কেট নির্মান এর ন্যায্য পাওনা আদায়ে মীরসরাই প্রেস ক্লাবে ( ২৯ এপ্রিল) বুধবার সকাল ১১টায় এক সংবাদসম্মেলনে কাছে মানবিক সহযোগিতা প্রার্থনা করেন প্রবাসী জনাব শাহাবউদ্দিন।

উক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে দাবী আদায় নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন তাঁর ভাগিনা শাহজাদা ইমরান। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান উক্ত গ্রীন টাওয়ার মার্কেটের আরএস ১২, বিএস ২৫০ দাগে সর্বমোট ২৪ শতক জায়গার মধ্যে আমি খরিদ শুত্রে ও দলিল মূলে আমরা

৭ শতক জায়গা জমির মালিক। জনাব সাহাবুদ্দিন প্রবাসে থাকার সুবাধে জমির মালিকানার বিষয় সুরাহা না করে ৬ বছর পূর্বে ২০১৪ সালে আমাদের অংশ সহ আরো সাড়ে ৪ শতক অতিরিক্ত দখল করে মার্কেট নির্মান শুরু করে। তিনি বিষয়টি জানতে পেরে দেশে এসে চট্টগ্রাম জর্জকোর্টের মীরসরাই আদালতে মামলা নং ১০৮/ ২০১৪ আদালতে দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত চলমান কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা নং ৩৮০৮/ ২০১৫ দায়ের করে। কিন্তু প্রবাসী কর্মজীবি বিধায় তিনি প্রবাসে চলে গেলে বিবাদী মধ্যে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পিতা : নজির আহাম্মদ, গ্রাম : ধূম, মীরসরাই, চট্টগ্রাম একই দাগের তাহার দুই ভাই যথাক্রমে নুর উদ্দিন ও আলাউদ্দিন সবুজ থেকে তাদের অংশ কিনে নেয়। কিন্তু জনাব সাহাবুদ্দিনের অংশ সুরাহা করতে বলার পর ও তাঁহাকে ঠকানোর নিমিত্তে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবশালি ব্যক্তিকে মার্কেটের সাথে সম্পৃক্ত করে দোকানপাট ভাড়া ও দিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে ৬টি বছর অতিক্রান্ত হলে ও অদ্যাবধি আমার জমির ন্যায্য মালিকানার দাবী এখনো নিস্পত্তি করে নাই। উপরন্তু আমার ন্যায্য দাবী না দেয়ার জন্য আমাকে নানাভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক হুমকি ধমকি প্রদানে লিপ্ত।  আমার জমির ন্যায্য দাবী আদায়ে যথাযথ আইনগত সহযোগিতা ও উপযুক্ত সমাধান প্রত্যাশা করছি। নতুবা, মহামান্য

আদালতের কাছে আমার দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত উক্ত অবৈধ মার্কেট বন্ধ রেখে আমার জমি উদ্ধারের প্রার্থনা করছি । উক্ত সংবাদ সম্মেলনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন তাঁহার আরেক ভাই তালেবুল মাওলা।
উক্ত বিবাদমান বিষয়ে প্রতিপক্ষ জনাব জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আদালতে বিচারাধিন, আমার কিছুই করার নেই। তবে এই বিষয়ে বারইয়াহাট পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বাজারের অন্যতম ব্যবসায়ী নেতা রেজাউল করিম খোকন বলেন উক্ত প্রবাসীর ন্যায্য পাওনা নিয়ে আমরা ও বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেছি, কিন্তু বিষয়টি সুরাহা না হওয়া দুঃখজনক। এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি মফিজ উদ্দিন ভূঞার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আদালতে বিচারাধিন বলে জেনেছি, তবু ও আইনশৃংখলা জনিত কোন অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।