বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচান: জাতিসংঘকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস

ahrc

 

হংকংভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও সহিংস পরিস্থিতির বিপজ্জনক বাস্তবতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনকে খোলা চিঠি লিখেছে। এতে বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচাতে অবিলম্বে জাতিসংঘকে তৎপর হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয় হুমকি ও ধমকির কারণে দেশটির মিডিয়া নীরব রয়েছে।বুধবার এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের নির্বাহী পরিচালক বিয়ো ফ্রান্সিস সংস্থাটির পক্ষে চিঠিটি লেখেন। `BANGLADESH: UN should act immediately to save Bangladeshi lives’শিরোনামের  চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, “বাংলাদেশের বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে দেশটির মিডিয়া নীরব রয়েছে। মিডিয়াকে এমনকি ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবরও প্রকাশ করতে দেয়া হচ্ছে না।“এতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো প্রতিদিনই ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের দেখিয়ে দেয়া রাজনৈতিক বিরোধীদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করছে। বর্তমানে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী বিভিন্ন জেলায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন লোকজনকে পাকড়াও করছে, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিচ্ছে।পাশবিক শক্তি প্রয়োগসহ সব উপায়ে রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করাটাই এখন দেশটিতে ক্ষমতাসীন জোটের অগ্রাধিকারের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এর ফলে বিরোধীরা সহিংস প্রতিশোধ গ্রহণে প্ররোচিত হচ্ছে। ঢাকা এবং দেশজুড়ে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটছে।”এশিয়ান হিউম্যান রাইটস-এর খোলা চিঠিতে আরও বলা হয়, “২৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রায় ১০৫ জন নিহত হয়েছে। এ ধরনের প্রাণহানি অবশ্যই অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আর তা করতে সব চেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।চিঠিতে বলা হয়, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোট ১৫ই ডিসেম্বর থেকে তাদের কর্মীদের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ‘সহায়তা করার’ নির্দেশ দেয়। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে, এই সহায়তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে ক্ষমতাসীন জোটের সহযোগী দুর্বৃত্তরা রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সাথে যোগ দেবে এবং ইচ্ছামতো খুন, নির্যাতন ও ধর্ষণ চালিয়ে পুরো সমাজে ত্রাসের সঞ্চার করবে। সরকারের সমালোচনাকারী সুশীলসমাজের সদস্য ও মানবাধিকার কর্মীরাও হুমকির মধ্যে রয়েছেন।”মানবাধিকার সংগঠনটি জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে লেখা খোলা চিঠিতে উল্লখ করে যে, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন মনে করে, জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের অফিস এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নজিরবিহীন উদ্যোগ গ্রহণ না করলে বাংলাদেশে ভয়াবহ মাত্রায় সহিংসতা ও নৃশংসতা সংঘটিত হবে। বাংলাদেশে প্রতিদিন যে রক্তবন্যা বয়ে চলেছে সে সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাতে পর্যাপ্ত তথ্য লাভ করে তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের অফিস সম্ভব সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে চিঠিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্র: আইআরআইবি

Leave a Reply