বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বাঁশখালীর ভাড়া নৈরাজ্য ঠেকাতে জেলা প্রশাসকের মোবাইল কোর্ট চালু

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রধান সড়কে বাস মালিক সমিতির সিন্ডিকেট ভাড়া নৈরাজ্যে অতিষ্ট দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা বাঁশখালীর সাধারন যাত্রীরা। এই নিয়ে বিগত সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানা হলেও নৈরাজ্যের হয়নি কোন সুরাহা। এই দিকে “ন্যায্য ভাড়ায় বাড়ী ফেরার দাবীতে গত ঈদের আগে (৩০শে আগস্ট) বাঁশখালী স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক মো.জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে ৭দফা দাবির ভিত্তিতে স্মারক লিপি প্রদান করেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে (১০সেপ্টেম্বর) রবিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ আলীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে অতিরিক্ত ভাড়ার বিরোদ্ধে প্রথমবারের মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সোহাগ পরিবহনের ১টি বাস, আনোয়ারা স্পেশাল সার্ভিসের ১টি সহ বাঁশখালী স্পেশাল সার্ভিসের ২টি বাসকে মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আনোয়ারা-বাঁশখালী বাস মালিক সমিতির অফিসে নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট না থাকায় তাদেরকে কতৃপক্ষ ২ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রথমবারের মতো সতর্ক করে দেয়। ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ আলী বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের লক্ষ লক্ষ মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

মালিক সমিতি, যাত্রী ও হেলপার-ড্রাইভারদের সতর্কসহ আইন মানার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছি। মালিক সমিতির অফিস ও গাড়িতে ভাড়ার হারের তালিকা নেই। এ ব্যাপারে তারা কথা দিয়েছে এখন থেকে নিয়ম মেনে চলবে। তিনি আরো বলেন, তাছাড়া আমরা দক্ষিণ চট্টগ্রামের পরিবহন নৈরাজ্যটি প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ে রাখবো এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনে আবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো।

কর্মব্যস্ত নগরী থেকে প্রতিদিন নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরে বাঁশখালীর হাজারো মানুষ। বাঁশখালীতে যাতায়তের একমাত্র প্রধান মাধ্যম বাস। এই বাসগুলোর কয়েকটি সিন্ডিকেট নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে। এ নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় একাধিকবার নিউজ হলেও অজানা কারণে কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি।

বাঁশখালী স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আহেমদ জেলা প্রশাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালীর মানুষ পরিবহন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। স্মারকলিপির এমন কার্যকরী পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসাজনক।

এদিকে বাঁশখালীর সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে শহরে নিয়মিত আসা-যাওয়া করে এমন একজন ব্যবসায়ী মো. নোমান বলেন, জেলা প্রশাসকের তদারকিতে ভাড়া নৈরাজ্য বন্দ হলে বন্ধ হবে যাত্রী হয়রানী।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি