শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

প্রেমিককে পিটিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিনিধি
মীরসরাইয়ে প্রেমিককে পিটিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে ৯ম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজ রোডস্থ করিম মার্কেটের ছাদে এঘটনা ঘটে। নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে এতোদিন কিছু না বললেও গতকাল ওই ছাত্রী তথ্য অনুসন্ধান বিভাগের কাছে ঘটনা খুলে বলে। গতকাল বিকেলেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে। আটক দুইজন হলেন, মীরসরাই পৌরসভার মধ্যম মঘাদিয়া গ্রামের আয়ুব খানের ছেলে পারভেজ আলম মাহিদ (২২) ও তারাকাটিয়া গ্রামের নুরুন নবীর ছেলে আরিফুল ইসলাম (২১)।
মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, গতকাল লতিফীয়া কামিল মাদ্রাসায় সরকারের তথ্য অনুসন্ধানের কর্মসূচি ছিল। সেখানে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রী উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা আসমাউল হুসনার কাছে একান্তে তার কিছু তথ্য জানাতে চায়। এরপর উক্ত কর্মকর্তা ছাত্রীকে নিয়ে একান্তে বসলে গত ২৯ আগস্ট ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে। অতঃপর তথ্য কর্মকর্তা মাদ্রাসার ওই ছাত্রীকে নিয়ে আমার কাছে সহযোগিতার জন্য আসে। আমি সাথে সাথে মীরসরাই থানার ওসি জাহিদুল কবিরকে পুরো বিষয়টি অবহিত করি।
ঘটনার বিবরণে ওই ছাত্রীর দেয়া লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে জানা যায়, বান্ধবীর খালাতো ভাইয়ের সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৯ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সে লতিফীয়া মাদ্রাসা থেকে ক্লাস শেষে মীরসরাই কলেজ রোডস্থ করিম মার্কেটের ছাদে যায়। সেখানে বান্ধবীর খালাতো ভাইও ছিল। হঠাৎ আরিফুল ইসলাম এসে বলে তোমাদের অনেক কিছু ভিডিও করেছি। এসময় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রেমিককে পিটিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে মেয়েকে ছাদে অপেক্ষা করতে বলে। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে আরিফ। এসময় পারভেজ আলম মাহিদ তা ভিডিও করে। পরে সেও তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর দুজনই এই ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়।
মীরসরাই থানার ওসি জাহিদুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। বিকাল ৪টার দিকে ওই ছাত্রীর মাকে বাদী করে একটি ধর্ষণ মামলা করি। এরপরই ৩০ মিনিটের মধ্যে করিম মার্কেটে হানা দিয়ে দুই ধর্ষক পারভেজ আলম মাহিদ ও আরিফুল ইসলামকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুজনই পুলিশের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। আটক দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।