শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

প্রাণ ফিরে পেয়েছে মীরসরাইয়ের কৃষকরা

মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় বর্জ্র্যপাত ও বৃষ্টিপাতে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুটির কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলে ও প্রাণ ফিরে পেয়েছে কৃষকের ফসলি মাঠ ও মৌসুমি শাক সবজির মাঠ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গতকাল বুধবার (১ এপ্রিল ) দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪ ঘন্টা ধরেই আগাম বৈশাখী দমকা ঝড়ো হাওয়া, থেমে থেমে বেশ শিলা বৃষ্টি ও বৃষ্টিপাত হয়।
এসময় ঝড়ো হাওয়ায় উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর দুর্গাপুর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির টিনের ছালে বট গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে মন্দিরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন দাশ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছের ডাল ভেঙ্গে মন্দিরের ছাদ মাটিতে ধসে পড়ে। এতে করে মন্দিরে থাকা শীল পাথরের ৩টি প্রতীমা ভেঙ্গে যায়। এছাড়া উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছের ডালপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ তারের উপর পড়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায় পুরো উপজেলায়। চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ মীরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ঝড়ের কারণে উপজেলার বিভিন্ন অংশে গাছের ডালপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর পড়ার কারণে সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে সন্ধ্যা নাগাদ কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুত চালু করেন।
চলতি চৈত্রের খরায় এই বৃষ্টিপাত ক্ষয়ক্ষতির চেয়ে হাসি এনে দিয়েছে কৃষকের মুখে। দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন আমার এক কানি জমিতে বোরা ধান রোপন করেছি। পানির অভাবে জমি শুকিয়ে গেছে। খালে ও পানি নেই। এই বৃষ্টি আমার ক্ষেতের প্রাণ ফিরে দিয়েছে। খালে ও পানি হয়েছে। কদিন পর সেচ দিতে পারবো।
এছাড়া করলা, ঝিঙ্গা, পটল, ঢেড়স, লাউ, তিতা করলা সহ মৌমুমি সবজি চাষিদের মুখে ফুটে উঠেছে অপার হাসি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন আজকের বৃষ্টিপাতে কৃষকদের শাক সবজির ফলন ও এবারের মীরসরাই উপজেলার আবাদ হওয়া ২১৪০ হেক্টর জমিতে বোরোর ফলনের জন্য অত্যন্ত সময়োপযোগি হয়েছে।