নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
দেশজুড়ে অসময়ে প্রাকৃতিক বৈরীতায় আতংকগ্রস্থ মিরসরাইয়ের মৌসুমী সবজি চাষী ও আমন কাটার অপেক্ষায় কৃষকরা। তবে কৃষিবিভাগ বলছে এরচেয়ে বৃষ্টিপাত আর বেশী না হলে কোন প্রকার ক্ষতি হবে না। বৃষ্টির পরিমান বেড়ে গেলে ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে কৃষকরা।
গত শুক্রবার থেকে রবিবার ( ১০ ডিসেম্বর) কয়েকদিন ধরে সারাদিন ব্যাপী নিন্মচাপের প্রভাবে কৃষি প্রধান জনপদ মীরসরাই উপজেলা জুড়ে কখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি কখনো হালকা বৃষ্টিপাত ছিল বেশ। এসময় উপজেলার হাটবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট বর্ষার দিনের মতোই কাদা হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও জমিতে ও আংশিক পানি জমে যেতে দেখা গেছে। আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গির আলম বলে আমার লাউ ক্ষেতে বেশ পানি জমে গেছে। এতে লাউয়ের জন্য বেশ উপকার হলে ও পার্শ্ববর্তী অনেক জমিতে এখনো কপি, বেগুন, ঝিঞা ইত্যাদিও চারা বড় হচ্ছে। অনেকে অনেক সবজির চারা মাত্র লাগাচ্ছে। দক্ষিন তালবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মকছুদ আহাম্মদ জানান আমার বাড়ীর উঠোনে ধান ও বৃষ্টিতে পচন ধরেছে। কিছু খড় দিয়ে গাদা করা হয়ে গেছে। বাকি খড় নিয়ে চিন্তিত। তিনি বলেন সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হচ্ছে সীমের। সীমের ফুলগুলো সব ঝরে যাচ্ছে। আবার পরিপূর্ণ হয়ে উঠা সীমে পোকার আক্রমন হতে পারে। আবার জমিতে এরচেয়ে বেশী পানি জমে গেলে সব আশাই ভেস্তে যাবে।
দুর্গাপুরের কৃষক শরিফ উদ্দিন বলেন আমার মরিচের চারায় মাত্র ফুল আসছে, শষা, ধনিয়া মাত্র গাছ বেড়েছে সীমে ও ফুল আসছে। ক্ষেতে বেশী পানি জমলে আর ফলন পাবো না। মরেই যাবে সকল গাছ। খৈয়াছরার কৃষক রবিউল হোসেন বলেন আমন ধানের দুই জমির ধান ঘরে উঠেছে। আরো ১৪ গন্ডা বাকি ও রয়েছে । অনেক ধান এখনো উঠোনে। বেশী বৃষ্টি হলে আর উপায় থাকবে না। জমিতে শুইয়ে রাখা ধান ও পঁচে যাবে। আর উঠোনের ধান ও ঘরে তুলতে খড় আর ধান সব আবার শুকিয়ে উঠতে কষ্ট পেতে হবে বেশ। এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার নুরুল আলম বলেন ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ আমন ঘরে উঠে গেছে। আর আশা করা হচ্ছে এরচেয়ে বেশী বৃষ্টিপাত আর হবে না। যেটুকু হয়েছে এটুকুতে কৃষকরা মৌসুমি সবজির ক্ষেত্রে লাভবানই হবে। তবে এরচেয়ে বেশী হলে সকল ক্ষেত্রেই কিছুটা কম বেশী ক্ষয়ক্ষতি হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ ও বলেন আশা করছি এবারের বৈরী প্রতিকূলতা আমরা কাটিয়ে উঠে যাবো ।