বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

পাবনায় আ. লীগের গুলিবিদ্ধ আরেক কর্মীর মৃত্যু

001_63300_0

পাবনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত আওয়ামী লীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন।পাবনায় আ. লীগের গুলিবিদ্ধ আরেক কর্মীর মৃত্যু রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়া পথে তিনি মারা যান।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার পুষ্পপাড়া বাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ফজলুর রহমান ওরফে মজনু, সুলতান আহমেদ এবং আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় রফিকুল ও মামুন গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ আটজনকে আটক করে। আতাইকুলা থানার ওসি আকরাম হোসেন সমকালকে জানান, চার খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে এই আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা হলেন-মোস্তফা, আবু সামা, কিনু, আব্দুর রহমান, আবু সাইদ, কালু, ইউসুফ এবং স্বপন। ঘাতকদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এলাকাবাসী রোববার সকাল থেকে পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে। পরে দুপুরে পাবনা সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, জেলা পরিষদ প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু, রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন এবং পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী দুপুর ২টায় অবরোধ তুলে নেয়। পরে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাবনা সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স সমকালকে বলেন, “বিএনপি জামায়াতের সরাসরি মদদে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা সবাই দলের নিবেদিত কর্মী। ঐ এলাকায় জামায়াত-শিবিরের আধিপত্য থাকলেও তারা তারা ছিলেন প্রতিবাদী।” পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল আলী মাসুদ সমকালকে জানান, নিহত সুলতান আতাইকুলা থানা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক, নিহত ফজলু একই থানার শ্রমিক লীগের ত্রাণ সম্পাদক এবং আব্দুস সালাম সদর থানা গয়েশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন। পাবনা জেলা বিএনপির সহসভাপতি কে এম মুসা আওয়ামী লীগের দাবি অস্বীকার করে সমকালকে বলেন, “পুষ্পপাড়া হাটের চাঁদার টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে কোনোভাবেই বিএনপি জড়িত নয়।”

পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুর রহীম ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “চরমপন্থিদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর সাথে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।”

সন্ত্রাসীদের গুলিতে চার আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হওয়ার পর পাবনা সদর উপজেলার পুষ্পপাড়া বাজার এবং আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে পুষ্পপাড়া বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।