মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

পরিচর্যায় বাড়ছে কদমফুল

মাহবুব পলাশ|

জ্যৈষ্ঠ মাসে বর্ষার আগমনে যেন কদম ফুলের হাসি ফুটেছে। প্রকৃতি সাজে ভিন্ন রূপে। তবুও চিরচেনা অপরূপ সুন্দরের অধিকারী বনফুল কদম। এ বর্ষায় এখন থেকে দেখা শুরু হয়েছে মীরসরাই এর জনপদেও। চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজেলার চেয়ে মীরসরাইতে কদমফুল গাছ অনেকটা কম হলেও এখন এর রোপন ও পরিচর্যা দিন দিন বেড়ে উঠায় দেখা যেতে শুরু হয়েছে কমদফুল।

কদমফুল ফুটতে দেখা যাচ্ছে মীরসরাই পৌরসদরস্থ ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস সহ ফোরলেন এর মিডইয়ান সহ উপজেলার গ্রামাঞ্চল এলাকায়ও ।

আর সেই চিরচেনা কদমফুল এখন হারিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি ধোয়া আষাঢ়ের বাতাসে কদম ফুলের ঘ্রাণ যেন স্বপ্নের রাজ্যে দোলা খাচ্ছে। গ্রামবাংলার প্রকৃতি আর বৃষ্টির প্রতিটি রিমঝিম ফোঁটা যেন সবাইকে সম্মোহিত করছে। গ্রাম্যঞ্চলের বর্ষার আগমনী বার্তা কদমফুল মীরসরাইয়ের পৌর সদর থেকে মফস্বল এলাকায় যেন আপন মহিমায় আগমন ঘটেছে। গাছে গাছে ফুটেছে কদমফুল। একটি দুর্লভ ফুলের নাম কদম। তবুও কদমগাছ এখন কম চোখে পড়ছে। এক সময় ছিল বর্ষায় কদমফুলকে নিয়ে গ্রামবাংলায় চর্চা হতো কবিতা ও ছড়া-গান সাহিত্যে ও উপন্যাস। শিল্প সাহিত্যের ঐতিহ্যকে টিকে রাখতে কদমফুলের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। কদমফুল আমাদের বর্ষা ও আষাঢ় মাসের দূত। প্রাকৃতির বুকে জেন সৌরভ বাতাসে দুলছে কদমফুল। জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষে আষাঢের শুরুতে ব্যাপকভাবে কদমফুল ফুটে। এখন রুপরানী চট্টলার বিভিন্ন জনপদের পাশাপাশি মীরসরাই উপজেলার অনেক স্থানে যেন কদমফুল হাসছে। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে। কদমফুলের গন্ধে যেন দৃষ্টি কাড়ছে সবার। বর্ষার অনুভূতি ও অপরূপ সৌন্দর্যের দাবিদার কদমফুল। তবুও আমরা যেন বাড়ির উঠানে একটি করে কদমগাছের সৌরভ পেতে চাই ।

মীরসরাই ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফছার বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দয্যপূর্ণ একটি দেশ। এজন্য প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় প্রচুর পরিমানে গাছ লাগানো প্রয়োজন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ও সংস্কৃতি ঐতিহ্য রক্ষায় কদমফুলের অবদান রয়েছে। তিনি বলেন ,আমার কলেজের ক্যাম্পাসে কদমফুল সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে আছে। ফলে আমাদের ছাত্র শিক্ষক সবার মন খুশি থাকে। মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, আমরা সবকিছু ভুলে গিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় ফুল ও বনজ বৃক্ষের চারা লাগানোর পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কদমগাছ লাগানো দরকার। এমনকি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি কদমফুল খায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও সরকারি বেসরকারি জায়গায় কদমগাছ লাগানো প্রয়োজন। তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দযর্ বৃদ্ধি পাবে।