শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির আগ্রহী যারা

হিমেল হাসনাত, ঢাকা :

BNP

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সরকারের বুলেটের জবাব জনগণ ব্যালটে দেবে।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের মাঠে সাধারণত রাজনীতিবিদরা এ ধরণের বক্তব্য দেন। বিএনপির সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজী হান্নান শাহ। তার মতো বিএনপির শতাধিক নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী।

‘বিএনপির অধিকাংশ নেতা আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যাকুল’ বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ পত্রিকা। বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী এ পত্রিকার গত বুধবারের ‘বাংলাদেশি পলিটিক্স: ট্রেঞ্চ ওয়ারফেয়ার’ শিরোনামে প্রচারিত প্রতিবেদনে একথা বলা হয়।

সূত্র জানায়, বিএনপির কারাবন্দি স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, মওদুদ আহমদ ‘দলের ভাঙন ঠেকাতে’ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে ছিলেন। ‘দলের ভাঙন ঠেকাতে’ নির্বাচনে অংশ নেয়ার যুক্তি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এর মধ্যে তুলে ধরেন।

নেতাদের যুক্তি, নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি ফের ভাঙনের মুখে পড়বে। ক্ষমতাসীনরা বিএনপিকে ভাঙতে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছেও এ যুক্তি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কয়েকবার তুলে ধরা হয় বলে দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়। তবে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সরকার বিএনপির কোনো দাবি মেনে নেয়নি বলেও ওই নেতারা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অভিমত দেন।

যোগাযোগ করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রিয় দেশকে বলেন, ‘বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পদ্ধতিতে হলে আগামী নির্বাচনে দলটি অংশ নেবে না।’

বিএনপির সূত্র প্রিয় দেশকে জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের চেয়ারপারসনের কাছে শীর্ষ নেতারা আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে মত প্রকাশ করেন। তারা খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নিতে ‘এক ধরণের চাপও’ দেন। তবে খালেদা জিয়া স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া বিএনপিসহ ১৮ দল নির্বাচনে অংশ নেবে না।’

বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত অংশ নিচ্ছেন, সরকারের কাছেও এমন তথ্য আছে বলে সূত্র জানায়। যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমের কাছেও বিষয়টি স্বীকার করেন। আজ শনিবার ফেনীর এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় ওবায়দুল কাদের এ কথা আবারও বলেন। তবে বিএনপির অনেক নেতা মনে করছেন, ‘বিএনপির অনেককে সরকার ফাঁদে ফেলে নির্বাচনে নিচ্ছে।’

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যারা নির্বাচনে আগ্রহী, তাদের মধ্যে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর বীরবিক্রম, ড. ওসমান ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মোসাদ্দেক আলী ফালু, বরকত উল্লাহ বুলু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী মীর নাছির উদ্দিন প্রমুখ।

Leave a Reply