মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

দুর্গাপুরে শিশু নির্যাতন এর প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা নির্যাতন শিকার

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মীরসরাই উপজেলার ৮নং দৃর্গাপুর ইউনিয়নের তানিয়া আক্তার দোলন (২৪) নামে এক গৃহবধু শুক্রবার সকাল ১১টায় স্থানীয় মীরসরাই প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসিক্ত নয়নে স্বামীকে হত্যার চেষ্টার সুবিচার ও বর্তমানে পরিবারের নিরাপত্তায় প্রশাসনের সহযোগিতার আবেদন জানান।

গৃহবধু তানিয়া আক্তার দোলন (২৪) বলেন ‘ আমার স্বামী আসাদুজ্বামান (৩২) আসাদ এলাকায় যুবলীগের সক্রিয় কর্মী বাবা জেঠাগন ৪জনই মুক্তিযোদ্ধা। এলাকায় একটি শিশুকে নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় আজ আমার স্বামী মৃত্যুশয্যায়। আমাদের গ্রাম উত্তর দুর্গাপুরের বখাটে যুবক শাখাওয়াত হোসেন শয়ন (২২) , পিতা- খান সাব পাশ্ববর্তি হাফিজ মিয়ার বাড়ীর ছালেহ আহাম্মদ এর ঘরে থাকা কাজের মেয়ে শিশু কন্যা ( ১১) যাকে প্রায়ই যৌন নিপীড়ন করতো। শিশুটি সকালে স্থানীয় ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় ধর্মিয় শিক্ষা নিতে যেত। আবার বাড়ীর আসেপাশে কাজের জন্য জমিতে বা পুকুরে যেত। ছেলেটি প্রায়ই ওৎপেতে তার উপর জোর পূর্বক ধস্তাধস্তি সহ ঝাপিয়ে পড়তো। অবশেষে এই শিশু নিজের ঘরের অভিবাবককে বিচার দিলে ও বখাটে যুবকের হামলার শিকার হবার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছিল না। তাই আমার স্বামী শিশুটির পাশে দাড়াবার জন্য তার উপর বিভিন্ন সময় হওয়া যৌন নিপীড়ন, অত্যাচার ও ধর্ষন সহ নির্যাতিত হবার কথা শিশুটির মুখের জবানবন্ধীর ভিডিও ধারন করে সমাজের কাছে সুবিচারের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হবার প্রতিশ্রতি দিলে ছেলেটি এই খবর জানতে পারে। এরপর থেকে এই ছেলেটি আমার স্বামীর উপর চড়াও হয় এবং মেয়েটির জবানবন্ধীর রেকর্ড ভিডিও ফুটেজটি দিয়ে দিতে বলে। কিন্তু এই মেয়েকে সুবিচার পাইয়ে দেবার জন্য আমার স্বামীর দৃঢ প্রতিজ্ঞায় আমরা ও সাহস যোগাই। কিন্তু তাতে কাল হয়। আর এই শাখাওয়াত হোসেন শয়ন এর নেতৃত্বে ১০/২৫ জন এর সংঘবদ্ধ দল আমার স্বামীকে ছত্তরভূঞারহাট থেকে বামনসুন্দর যাবার পথে গত ১০ মে রাত অনুমানিক ১০টায় সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করে। এমনটি আমার স্বামী মৃতভেবে ওরা চলে গেলে এলাকাবাসী আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। কিন্তু এরপর ও নিন্মলিখিত প্রতিপক্ষ আমার ও আমার স্বামী সহ আমাদের পরিবারের ক্ষতি সাধন করতে উঠে পড়ে লেগে আছে। আমার একমাত্র কন্যাকে উঠিয়ে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমি এমতাবস্থায় আমার স্বামী ও আমার একমাত্র কন্যা সন্তান মারিয়া সহ মা ভাই সহ পরিবারের সকলের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন সহ সর্বস্তরের সমাজ সচেতন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা প্রার্থনা করছি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনকালে আসাদ এর স্ত্রী এর সাথে সুবিচার প্রার্থ আসাদের মা নাছিমা আক্তার ও সন্তান এবং পরিবারের অসহায়ত্বের সুবিচারে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

তবে এই বিষয়ে ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা জোরারগঞ্জ থানার এসআই সুজয় কুমার মজুমদার বলেন আমরা ইতিমধ্যে ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত এমরান উদ্দিন সোহেল ও আরিফুল ইসলাম নামে দুইজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ও তদন্তাধিন রয়েছে। আসাদ এর স্ত্রী এবং মা তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক যেকোন সহযোগিতা চাইলে তা ও আমরা দিতে প্রস্তুত আছি। জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুরো ঘটনা আমি নিজে ও গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করছি। যে কারো যেকান নিরাপত্তা বিঘিœত হলো আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।