বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

দুই সপ্তাহ ধরে দেশের হলে শুধু ভারতীয় ছবি

বছরের শুরুটা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুখকর হলো না। ৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রযোজিত ছবি ‘পুত্র’। অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্মিত ছবিটি প্রায় শতাধিক হলে মুক্তি পায়।

পরের সপ্তাহে ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায় পাঁচ বছরের পুরনো ছবি ‘পাগল মানুষ’। ছবিটিতে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেন শাহের খান। এ দুটি ছবি ছাড়া জানুয়ারিতে বাংলাদেশি আর কোনো ছবি মুক্তি পায়নি।

চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার মাধ্যমে ১৯ জানুয়ারি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় কলকাতার বাংলা ছবি ‘জিও পাগলা’। ‘পুড়ে যায় মন’ ছবির বিপরীতে ছবিটি দেশে আমদানি করা হয়। কলকাতার তারকাবহুল ছবিটি দেশের বাজারে মুখ থুবড়ে পড়ে। রবি কিনাগির ছবিটি সিনেমা হলে দর্শক টানতে পারেনি।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে কলকাতার ছবি ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’। জিৎ-ফারিয়া জুটির ছবিটির সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র মিললো মুক্তির মাত্র একদিন আগে! ছবিটির প্রচারণায় দেশে এসেছেন জিৎ। গত ১৯ জানুয়ারি ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ মুক্তি পায় কলকাতায়। তবে নিজ দেশে সফলতা পাননি জিৎ।

যেখানে প্রতি সপ্তাহে দুটি করে ছবি মুক্তির রেওয়াজ রয়েছে সেখানে দেশের প্রেক্ষাগৃহে সপ্তাহে ছবি মুক্তি পাচ্ছে একটি! জানুয়ারিতে চারটি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির মধ্যে দুটিই ভারতীয় ছবি। আর এমন পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা হতাশা প্রকাশ করছেন।

পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, পরপর দুই সপ্তাহে কলকাতার ছবি বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া আমাদের জন্য নেতিবাচক। এটা কখনো কাম্য নয়। এতে করে আমাদের দেশি ছবি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি বছরে আমদানিকৃত ছবির সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া উচিৎ। এতে করে আমদানিকৃত ছবি মুক্তির বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।