বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ডেভেলপার্সের নামে প্রতারনার ফাঁদে মীরসরাইয়ের অনেকেই আজ সর্বশান্ত

protarona 02
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ  রাজধানি ঢাকা থেকে শুরু করে কুয়াকাটা ও অবশেষে মীরসরাই উপজেলায় ও ডেভেলপারর্সের নামে অনেক লোককে হাতিয়ে পথে বসালো লেক্সাস ডেভেলপারস নামের সিন্ডিকেট ও জনৈক বেল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। রিয়েল এষ্টেট এর নামে প্রতারনার ফাঁদে অনেকেই আজ সর্বশান্ত। দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি এলাকার অনেক উঠতি যুবককে ও সে পথে বসানোর অভিযোগ উঠেছে।
মীরসরাই উপজেলার আমবাড়ীয়া নোয়াপাড়া গ্রামের প্রবাসী জসিম উদ্দিন জানান রিয়েল এষ্টেট ও পৌর সদরে হাসপাতালের ব্যবসায় তাঁকে চেয়ারম্যান করার কথা বলে বেল্লাল হোসেন তার কাছ থেকে দফায় দফায় কোটি টাকা নেয়। বর্তমানে ব্যবসার লাভ তো দুরের কথা দীর্ঘদিন কোনভাবে আর যোগাযোগ ও করতে চাইছে না সে। এমতাবস্থায় স্বর্বস্বান্ত হওয়া জসিম দুবার দেশে এসে তার সাথে দেখা করতে চাইলে সে গা ঢাকা দেয়। আবার মীরসরাই উপজেলা সদরে ডেভেলপারস অফিস দিয়ে জমি বিক্রির নামে প্রতারনা ও সুফিয়া রোড এলাকায় একটি হাসপাতাল নির্মান করবে বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় সুফিয়া রোডে হাসপাতাল নির্মান করবে বলে একটি জমিতে গৃহায়ন ও গনপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর নামে ভিত্তি প্রস্থর ফলক ও স্থাপন করা হয়। অথচ সেখানে মন্ত্রী কখনোই যান নাই। মন্ত্রীর নাম বিক্রি করে এমন প্রচারনার ও নিন্দা জানায় মীরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক শেখ শহিদুন্নবী। চৌধুরী বোরহান উদ্দিন নামের অপর এক ভুক্তভোগি অভিযোগ করে বলেন কৌশলে জমি রেজিষ্ট্রী নিয়ে বেল্লাল এর অন্যতম সহযোগী সোহাগ গত ২ বছর ধরে আজো তাকে জমির টাকা বুঝিয়ে দেয়নি। মীরসরাই থানায় অভিযোগ ও নানা ভাবে সালিশ বিচার করে ও এখনো টাকা আদায় করতে পারেনি।
মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের ঘিনাল গ্রামের উক্ত বেল্লাল হোসেন প্রথমে ঢাকায় গিয়ে বেকারত্ব লাঘব করতে কয়েকজনের হাতে পায়ে ধরেই চাকরি নিল মেট্রো মেকার্স এর মধুমতি মডেল টাউনে। এরপর সেখান থেকে কিছু গ্রাহককে ঠকিয়ে লেক্সাস ডেভেলপারস নাম দিয়ে শুরু করলো নিজের রিয়েল ষ্টেট ব্যবসা। যার অফিস গুল ফেসা প্লাজা ( ১২ তলা), ৮ শহীদ সংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৬৯ পুরাতন), আউটার সার্কুলার রোড, মগবাজার, থানা- রমনা, ঢাকা। সেখানে ও তার নানান প্রসকেক্টাস  ও কাগজের মোড়ক সর্বস্ব প্রচারনার  ফাঁদে পা দেয় অনেকে।
সেখানে সমূদ্র সৈকত কুয়াকাটায় বিভিন্ন সুবিধা সম্মলিত প্লট বিক্রির জন্য পটুয়াখালী সিটি হাসপাতালের পরিচালক ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. শহীদুল বারী, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব হাবিবুল্লাহ । স্থানীয় সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাজ্বাদ হোসেন এর কাছ থেকে অন্তঃত ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
সকলে বেল্লাল হোসেন কে ছেড়ে দিলে ও ছেড়ে দিলেন না পটুয়াখালী সিটি হাসপাতালের পরিচালক ড. শহীদুল বারী। তিনি ঢাকার সিএমএম কোর্টে তার নামে প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা ঠুকে দেন। অতঃপর বেল্লালকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে ঢাকার সিআইডি পুলিশ।  গত ১৮ মে বুধবার অবধি কয়েকবার সে আদালতে জামিনে মুক্তি পেতে চাইলে ও তার জামিন নামঞ্জুর করে আদালত।
শুধু একজন বেল্লাল নয় এমন আরো অনেক ফন্দিবাজ লোক আছে এই সমাজে। এইসব প্রতারকদের বিষয়ে সকলের গন সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন মনে করছে সচেতন মহল।