শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

গাড়ি না ভেঙে রাজপথে নামুন: ফখরুল

দলের নেতাকর্মীদের শুধু গাড়ি ভাঙচুর না করে সরকারকে উৎখাত করতে রাজপথে নেমে আমার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৪৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রদল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, নির্বাচনকালীন যে সরকার গঠন করা হয়েছে তা সর্বদলীয় নয়। এটা মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভার পুনর্গঠন মাত্র। এই সরকারে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অর্ধেক দলই নেই। তাই সরকারের চেহারা পরিবর্তন না হলে ১৮ দল নির্বাচনে যাবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে ভীতিকর অবস্থার মধ্য দিয়ে নির্বাচন করা যাবে না। নির্বাচন করতে হলে, নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সংঘাত, হানাহানি ও অশান্তি সৃষ্টি হোক তা আমরা চাই না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা আলমগীর বলেন, প্রতিটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিরোধী নেতাকে দায়ী করে বক্তব্য রাখছেন। অথচ দেশে এই অশান্তি সৃষ্টির জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী নিজেই। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তিনি এই সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, একদিকে প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের কথা বলে ঢাকঢোল পিঠিয়ে নির্বাচনী উৎসব করছেন, অন্যদিকে নির্বিচারে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিরোধী দলের ২৫০ নেতাকর্মীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। লক্ষাধিক নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে নির্বাচনে আসতে বলছেন। এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে নির্বাচন করা যাবে না। ছাত্রদলকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, শুধু উত্তর-দক্ষিণ আর ভাইয়ের নামে স্লোগান দিলে হবে না। গণতন্ত্রের জন্য রাজপথে স্লোগান দিতে হবে। তিনি বলেন, অতীতে সব আন্দোলনে ছাত্রদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আজকে ছাত্রদলকে সেভাবে রাজপথে দেখা যাচ্ছে না। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। শুধু রাস্তায় দু’একটি গাড়ি ভাঙচুর করলে হবে না, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে রাজপথে নেমে এসে এই স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করতে হবে। মির্জা আলমগীর বলেন, আজকের আন্দোলন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে নয়, দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন। তাই রাজপথে নেমে জয়ী হতে পারলে সেটাই হবে তারেক রহমানের জন্মদিনের সেরা উপহার। তিনি বলেন, তারেক রহমান রাজনীতির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা তুলে ধরেছেন। তার সেই পতাকাই টেকসই গণতন্ত্র দিতে পারে। ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জাসাস মহাসচিব গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বিএনপির সহ-স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখন। পরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কেক কাটেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

উৎস-মানবজমিন

Leave a Reply