শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

করেরহাটে গৃহবধুকে খুন করে লাশ ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :: মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর গ্রামে কুলসুম আক্তার মুন্নি ( ২৫) কে নির্যাতনের পর তার মৃত দেহ ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছে নিহতের মা, বাবা ও ভাই। পুলিশ গতকাল রবিবার ( ৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় রহস্যজনকভাবে তার মৃতদেহ ঘরের সিলিং এ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। সোমবার ( ৬ এপ্রিল) মৃতদেহ পোষ্ট মর্টেম এর জন্য প্রেরণ করে । এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানায় উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথ অভিযোগ এন্ট্রি হয়েছে ।
প্রত্যক্ষদর্শি ও নিহত গৃহবধুর বড় ভাই ফিরোজ আহমদ জানায় ৫ বছর পূর্বে আমার আদরের বোনকে বিয়ে দেয়া হয়েছিল অলিনগর গ্রামের কাতার প্রবাসি আক্তার হোসেন ( ৩৫ ) এর কাছে। তাদের ঘরে দেবর, জা, শ্বশুর শাশুড়ি সহ পরিবারের সদস্য ৭ জন। শ্বশুর শাশুড়ি সব সময় তার বিষয়ে স্বামীর কাছে নানা কথা বলে কান ভারি করে রাখতো। আর স্বামীর প্ররোচনায় ওরা সবসময় তার উপর শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতো। অবশেষে ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে ঘরে মারামারির মতো ঘটনা ও ঘটেছিল। কিন্তু আমার বোন সন্ধ্যায় ও তার জন্য ঔষধ নিয়ে যেতে বলেছিল। শুশুর শাশুড়ি মারতো আবার ঔষধ ও কিনে দিতো না। ফিরোজ দাবী করে আমার বোনকে ওরা ঝগড়ার এক পর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে মেরে নিজেরা নির্দোষ সাজার জন্য দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি মফিজ উদ্দিন ভূঞা জানান আমি ঘটনার সাথে সাথে এসআই নিবাস কুমার ভট্টাচার্য কে পাঠিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এরপর নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহালে পেয়েছি ঘরের দরজা ও বন্ধ ছিল, মৃতদেহ ও ঝুলানো ছিলো। অতঃপর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন পুরো ঘটনা তদন্তপূর্বক সকল আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে । নিহত গৃহবধু মুন্নির মা শাহানা বেগম বলেন ওরা আমার মেয়েকে খুন করে ফেলবে আগে ও বলেছিল, অথচ আমার মেয়েকে বিয়ে করার পর মুন্নির বাবা তাকে বিদেশ ও নিয়ে গেছে। নিহত মুন্নির বড় ভাই ফিরোজের দাবী আমার বোনকে খুন করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। আর এর উপযুক্ত বিচার চাই আমরা। এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন জানান গৃহবধূ নিহতের ঘটনা জেনেছি, তবে পুরো ঘটনা ও বৃত্তান্ত অবহিত হই নাই। আশা করছি পুলিশের তদন্তে রহস্য বেরিয়ে আসবে। এদিকে নিহত গৃহবধুর সংসারে আরাফাত হোসেন মাহিন নামে ৩ বছরের একটি শিশু পুত্র রয়েছে। অবুঝ শিশু এখন কেঁদে কেঁদে মাকেই খুজছে শুধু। আর এতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিকেলে এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পোষ্ট মর্টেম শেষে মৃতদেহ দাফন করে মুন্নির মা, ভাই এর পরিবার।