বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

একজন সার্ক মানবাধিকার কর্মীর কারণে ফিরে পেল মেয়েটির পরিবার:

 

 

বৃহস্পতিবার রাত ১১.৩০মিনিট।চকবাজার ডিসি রোড়ের গণিকলনীর মুখে একটি ১৮ বা তদূর্দ্ধ একটি মেয়েকে গিরে শ-দেড়শ জন মানুষের জটলা। জটলা বেধ করে চোখ কাড়ল মেয়েটি। কথায় ইংরেজি বলছে, সুন্দর কথা-বার্তা। তবে বুঝতে দেরি হলো না মানসিক সমস্যায় আছে মেয়েটি।এমন যুবতি মেয়ে এতো রাতে বাইরে মোটেই নিরাপদ নয়। আংশঙ্কা বুঝতে পেরে সার্ক মানবিধাকার ফাউন্ডেশনের কর্মী মাহমুদুল হক মেয়েটিকে নিয়ে চকবাজার থানায় যায় । রাতে বাইরে মোটেই নিরাপদ নয়। আংশঙ্কা বুঝতে পেরে সার্ক মানবিধাকার ফাউন্ডেশনের কর্মী মাহমুদুল হক মেয়েটিকে নিয়ে থানায় চলে আসেন। প্রথমে পুলিশ রাখতে না চাইলেও মানবিধাকার কর্মী পরিচয় দেওয়ায় রাতে মেয়েটিকে থানা’র হেফাজতে রাখা হয়। কিন্তু রাতভর মেয়েটির চিল্লাচিল্লীর কারণে থানার পরিবেশ বিভোর হয়ে উঠে।রাতে মেয়েটিকে খেমে দু’জন মহিলা পুলিশ সদস্যকে আহত করে মেয়েটি।শত প্রচেষ্টার ফলেও মেয়েটির কোনো কোনো পরিচয় বের করা যায়নি।

তবে কথার মাঝখানে পটিয়ার কথা পুলিশ ধরে নেয় মেয়েটি হয়তো পটিয়ার হবে। কিন্তু পটিয়া থানায় খোঁজ নিয়ে জানা এমন কোনো নিখোঁজ ডায়রি হয়নি।সকাল ৮টায় সার্ক মানবাধিকারের কেন্দ্রিয় মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবেদ আলী ও প্রতিষ্টাতা পরিচালক ড.মুহম্মদ মাসুম চৌধুরীর নির্দেশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়কারী ওয়াসিম আহমেদ চকবাজার থানায় গেলে পুলিশ আশ্বস্থ করে মেয়েটির পরিবারের খোঁজ নেওয়ার।তারপর সার্ক মানবিধাকার ফাউন্ডেশনের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের অনলাইন প্রচারনা শুরু করলে বিকেল ৩টার দিকে মেয়েটির বাবা যোগাযোগ করেন।কিন্তু ততক্ষনে মেয়েটি চকবাজার থানার সুইপারেকে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে থানা থেকে বের হয়ে যায়।পরে মাহমুদুল হক সহ অন্যান্যরা খোঁজে আবার মেয়ের বাবাকে ফিরিয়ে দেয়।

মেয়ের বাবা জানায়,তাদের বাসা দিদার মার্কেট। গতকাল সন্ধ্যায় ৭টায় বাসা থেকে হারিয়ে যায় মেয়েটি।মেয়েটির নাম রিমি ত্রিপাঠি ।সে পটিয়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করেন থানার ।ডিউটি অফিসারদের অপদস্ত ও দুইজন আহত হওয়ার কারনে চকবাজার থানার এস আই জনাব মোহাম্মদ মহিদুল আলম(নিরস্ত্র) মানবাধিকার কর্মী মাহমুদুল হককে ডেকে তার জিম্মিদশায় মেয়েটিকে হস্তান্তর করলে মাহমুদের প্রতিও আক্রমনাত্মকভাবে এগিয়ে আসে এবং দুপুর ১ টার দিকে থানার এরিয়া হতে বের হয়ে যায়। দুপুর ২ টার দিকে।মেয়েটির অভিভাবক মানবাধিকার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করলে মানবাধিকার কর্মী মাহমুদ সহ এসে মেয়েটিকে চকবাজার এর গুলজার।মোর হতে উদ্ধার করে। মেয়ের বাবা জানায়, মেয়েটি মানসিকভাবে বিকৃত। ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ার-পটিয়া কলেজে অধ্যায়নরত।।তাদের বাসা চট্টগ্রামের দেওয়ানবাজার এলাকায়।। পরে দায়িত্ব রত ডিউটি অফিসার জনাব নাজিম উদ্দিনের সম্মুখে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।।

এ ঘটনায় মানবাধীকার কর্মী মাহমুদুল হক আক্ষেপ নিয়ে জানান, একটি মেয়েকে নিয়ে ৫ ঘন্টা জটলা করে আছে ১৫০-২০০ বিবেকহীন মানুষ যারা একবারো থানায় ইনফর্ম করলোনা। কিন্তু একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব।। আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পেরে ভাল লাগছে।আর যারা আমার এ কাজে সহযোগিতা করছে তাদের প্রতি অসংখ্যা ধন্যবাদ রইল ।আর যারা আমার এ কাজে সহযোগিতা, বিশেষ করে মানবাধিকার এর সহকর্মীরা ও চকবাজার থানা পুলিশ তাদের প্রতি অসংখ্যা ধন্যবাদ রইল।

চকবাজার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃনুরুল হুদা বলেন, ছেলেটির প্রশংসা না কওে পারছি।প্রত্যেকটা মানবাধিকার কর্মীর এমন হওয়া উচিৎ।তাছাড়া আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি।

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব বলেন,মানবতার কল্যাণে কাজ করা আমাদেও নেশা ।আর আমাদের তরূণ কর্মীরা আছেন সর্বদা মানবতার তরে। আজ এমন একটি ঘটনার উদাহরণ মাত্র।শুধু মানবাধিকার কর্মী সবাইকে মানবতার তরে নিজেদের বিলিয়ে দেওয়ার আহবান জানান তিনি।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি