শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

এই ৩ তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করবেন না!

502

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: দিনে দিনে ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে ফেসবুকে আপনার শেয়ার করা তথ্যকে কেন্দ্র করে জালিয়াতির বহরও।

বর্তমানে সাইবার দুষ্কৃতিদের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে আইডেনটিটি থেফ্ট নামের কৌশল, যেখানে একজন ব্যক্তির বিবিধ তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তার ব্যক্তি পরিচয়কে জাল করে তাকে আর্থিকভাবে লুণ্ঠন করা হয়।

ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশিরভাগ মানুষই তার নিজের আসল নাম, জন্মতারিখ এবং বাসস্থানের কথা জানিয়ে দেন তার প্রোফাইলে। এর ফলে দুষ্কৃতিদের কাজ আরো সহজ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য যদিও বা শেয়ার করা যেতে পারে ফেসবুকে, বিশেষ কিছু তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করা একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

পিইডাব্লিউ রিসার্চ সেন্টার থেকে বলা হচ্ছে, নিজের সম্পর্কে তিন ধরনের তথ্য কোনোভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করা উচিৎ নয়। কী সেই সব তথ্য? আসুন, জেনে নিই—

১. ভোটার আই কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য
নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা ভোটার আইডি কার্ড অনেকেই এইসব কার্ডের ছবি পোস্ট করে দেন ফেসবুকে। কেউ বা ভোটার আইডি কার্ডে নিজের বিকৃত ছবিটি নিয়ে ঠাট্টা করার সময় নমুনা হিসেবে ওই কার্ডের ছবিটিও জুড়ে দেন। এটা একেবারেই বোকামি। কারণ এই ধরনের কার্ডে নাগরিক হিসেবে একান্তভাবে আপনার সঙ্গে জড়িত যেসব তথ্য সেগুলি লিখিত থাকে। আপনার ছবি, জন্মতারিখ এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য যদি আইডেন্টিটি থিফদের হাতে চলে যায়, তাহলে আপনার আইডেন্টিটি হাতিয়ে নিয়ে বেআইনি কাজকর্মে লিপ্ত হওয়া তাদের বাঁ হাতের কাজ।

২. কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা
হয়তো আগামী সপ্তাহে কোথাও বেড়াতে যাবেন আপনি। তার জন্য উত্তেজনার বশে যদি এখন থেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিতে শুরু করেন যে, আগামী অমুক থেকে তমুক তারিখ আপনি কক্সবাজারে থাকবেন তাহলে আপনার অনুপস্থিতির সুযোগ নিতে পারে চোরেরা। এই চোরদের মধ্যে একেবারে ‘সিঁদেল’ টাইপের চোরেরা যেমন থাকতে পারে (অর্থাৎ যারা আপনার বাড়ি ফাঁকা পেয়ে আপনার বাড়ির টাকাপয়সা, জিনিসপত্র হাতাতে পারে) তেমনই থাকতে পারে আইডেন্টিটি থিফরাও, যারা আপনার অনুপস্থিতির সুযোগে আপনাকে আর্থিক তছরুপের শিকার বানাতে পারে।

৩. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য
প্রথম বেতনের চেক পাওয়ার পরে অনেকেই আবেগের বশে সেই চেক-এর ছবি পোস্ট করে দেন ফেসবুক বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায়। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ এই উপায়ে সাইবার অপরাধীরা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরসহ অন্যান্য জরুরি তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। কাজেই কোনো অবস্থাতেই আপনার আর্থিক লেনদেন বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনো তথ্য যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ না পায়, সে ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।