বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ঈদের আগে ঝাঁজ কমছে পেঁয়াজ-রসুনে

দুই সপ্তাহে দ্বিগুণ হওয়া পেঁয়াজের দাম ঈদের আগে কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। একই সঙ্গে কমেছে রসুনের দামও। তবে গত কয়েকদিনের চেয়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আদা ও সব ধরনের মসলা।

বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মালিবাগ, মুগদা, খিলগাঁও, মতিঝিল এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

জানা গেছে, খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দম কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

চলতি মাসের (আগস্ট) শুরুর দিকে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হয়। দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বাড়ে সমানতালে। সাধারণ জনগণ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার অজুহাত শোনানো হয়।

ব্যবসায়ীরা জানান, টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় পেঁয়ারের দাম বাড়ার অজুহাত দিয়ে দেশের বাজারে দাম বাড়ায় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে বাজারে সরবরাহ সঙ্কট দেখা দেয়। মূলত এ কারণে পেয়াজের দাম বাড়ে। এখন সরবরাহ বাড়ছে তাই দামও কমছে। সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকলে দাম আরও কমবে বলে আশা করছেন তারা।

সরবারহ বাড়ার কারণে গত তিন-চার ধরে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান মুগদা এলাকার মুর্দি দোকানদার শাহজাহান। তিনি বলেন, বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা দাম বাড়িয়ে দিলে আমাদের মত খুচরা ব্যবসায়ীদের কোনো কিছু করার থাকে না।

তিনি আরও বলেন, এখন দাম কমেছে তাই বিক্রিও করছি কম দামে। ৬০/৬৫ টাকার পেঁয়াজ আজ (বুধবার) ৪৪ টাকা বিক্রি করছি। এ ছাড়াও রসুনের দাম কিছুটা কমলেও আদার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।

এদিকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে এখনো আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, আগের বেশি দামে কেনা আছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবে অনুযায়ী, রাজধানীর বাজারগুলোতে ২৭ আগস্ট থেকে পেঁয়াজের দাম কমছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৯ আগস্ট প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ ও আমদানি পেঁয়াজের দাম ৩৫-৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল দেশি পেঁয়াজের ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর আমদানি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।

এ ছাড়া দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে দেশি রসুনের দাম ছিল ৯০ থেকে ১১০ টাকা আর আমদানি রসুনের দাম ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

মসলার দাম
পাইকারি বাজারে দাম না বড়লেও ঈদের হাওয়া লেগেছে রাজধানীর খুচরা মসলার বাজারে। মানভেদে প্রতিকেজি জিরা গত সপ্তাহের চেয়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ টাকা ও এলাচ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা, তেজপাতা ২০০ টাকা, লবঙ্গ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, কালো গোল মরিচ ১২০০ টাকা, কিচমিচ ৪০০ টাকা, জয়ফল ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায়, যত্রিক ১৫০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা, আলু বোখারা ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

মসলার দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতা আলমগীর বলেন, ঈদ উপলক্ষে পাইকারি বাজারে সব মসলার দাম বেড়েছে। তাই খুচরাতেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।