বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

২৯ ডিসেম্বর ঢাকা চলো কর্মসূচি ঘোষণা করলেন খালেদা জিয়া

0

প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে দেশবাসীকে শরিক হওয়ার আহবান জানিয়ে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা চলো কর্মসূচী ঘোষণা দিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।মঙ্গলবার গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া ‘মার্চ ফর ডেমোক্র্যাসি’ নামে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। তিনি দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষকে পল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়ার আহবান জানান।বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া  অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় থেকে সরকার নজিরবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। সংলাপের নামে সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে বলেও অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া বলেন, আন্দোলন থামাতে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন ও গুমের পথ বেছে নিয়েছে। আটক করে জেলহাজত ভরে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনে বিশ্বাস করেন বলেই তিনি এ ব্যবস্থা করেছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অবৈধ মন্তব্য করে বেগম জিয়া বলেন,তাদের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। তাই তাদের আদেশ কিংবা নির্দেশ প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা মানতে বাধ্য নন। প্রসহন ও কারসাজির মাধ্যমে সরকার স্বৈরাচারি কায়দায় দেশ চালাতে চায়। তিনি বলেন একটি বিদেশী পত্রিয়ায় রিপোর্ট হয়েছে আওয়ামী লীগ জিতলেও বাংলাদেশ হেরে যাবে। আমরা বাংলাদেশের হেরে যাওয়াকে মেনে নিতে পারিনা। নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে আগুনে জ্বলসে দিয়ে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাতে চায় সরকার। কিন্তু মানুষ এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠবেই। কুটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে সরকার নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। একদিকে হত্যা, গুম, এবং বিচারপতির বাড়ি এবং হিন্দৃদের বাড়িতে হামলার সাথে শাসক দলের লোকজন জড়িত। তারা ধরা পড়লেও তাদের বিচার হচ্ছেনা। এসময় তিনি গণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। আইনশৃঙ্খলার নামে য়ৌথবাহিনীর নামে ঘরে ঢুকে মানুষকে গুলি করা হচ্ছে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখী দাড় করানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলাতে চলছে রাষ্ট্রীয় তান্ডব। এর দায়ভার নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার মানবাধিকার রক্ষায় দেশি বিদেশী বিভিন্ন সংস্থাকে সোচ্চার ভূমিকা পালনের জন্য ধন্যবাদ জানান বেগম জিয়া। দেশ ও মানুষ বাচেতে মানবাধিকার রক্ষায় গণতন্ত্র রক্ষায় সবাইকে একসাথে লড়াই করার আহ্বান জানান তিনি। শান্তি সমঝোতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশিষ্ট নাগরিক ও ব্যবসায়ী সমাজসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের তিনি ধন্যবাদ জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অন্যায় তৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সময় এসে গেছে, আপনাদের জনগণের পক্ষে কাজ করতে হবে। কারণ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে কাদের মোল্লার ফাসির রায়কে কেন্দ্র করে পাকিস্তান পার্লামেন্টে দেয়া প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে বলেন, তাদের এই প্রতিক্রিয়া আমাদর মর্মাহত করেছে। আমরা এব্যাপারে আগেই বিবৃতি দিয়েছি। খালেদা জিয়া বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আমরাও চাই। তবে এটি হতে হবে স্বচ্ছন।
উৎস- যুগান্তর

Leave a Reply