বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

সাবধান! ওজন কমাতে গিয়ে যা করবেন না…

1374_skim

ওজন কমানোর চেষ্টায় উল্টো আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে বা আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। ওজন কমাতে ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে গিয়ে অনেকেই একটা ভুল করে বসেন। তারা হয়তো কোন এক বেলার খাবারই খান না বা একেবারেই অল্প খান। কিন্তু, তারা যেটা ভুলে যান, সেটা হলো সবকিছুই একটি পরিমিত মাত্রায় করা ভালো। কারণ, যে কোন এক বেলার খাবার না খেলে, শরীরের যা উপকার হবে, তার চেয়ে ক্ষতি হবে ঢের বেশি। এ ধরনের বিপজ্জনক অভ্যাসে আপনার শরীর অপরিহার্য পুষ্টি উপাদানসমূহ থেকে বঞ্চিত হয়। এটা বিপাকীয় বা হজম প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে, যার কারণে ওজন বেড়ে যায় বা ডায়াবেটিসের সমস্যায় আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তি। বিশেষ করে সকালের নাস্তা না খাওয়ার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তারা চান খুব দ্রুত অতিরিক্ত ওজন শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলতে। তা করতে গিয়ে স্বাভাবিক বিপাকীয় প্রক্রিয়াকেই নষ্ট করে ফেলেন তারা। আমরা যে খাবার খাই, বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় তা আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। আর সেখান থেকে যে পুষ্টি-উপাদান শরীর গ্রহণ করে, তা আপনাকে সারাদিন সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে। আপনি যখন কোন একটি বেলার খাবার খান না, তখন আপনার বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিষ্ক্রিয় থাকে ও দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে, দিনের পরবর্তী ভাগে আপনি যে খাবারটি খান, সেটিকে ভাঙার মতো পর্যাপ্ত ক্ষমতা থাকে না বিপাকীয় প্রক্রিয়ার। খাবারগুলো সঞ্চিত হতে শুরু করে ও সেখান থেকে যে চর্বি উৎপন্ন হয়, তা দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়। খাবার না খাওয়ার প্রবণতা আপনার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। স্বাভাবিক বিপাকীয় প্রক্রিয়ার সময় সঞ্চিত খাবারের একটি অংশ তো চর্বিতে পরিণত হয়। বাকি অংশগুলো রক্তে সুগার হিসেবে মিশে যায়, যা আপনাকে সারা দিনের শক্তি যোগায়। অন্যদিকে, প্রতিদিন নিয়মিত বিরতিতে খাবার না খাওয়ার অভ্যাস আপনার রক্তে সুগারের মাত্রাকে ভয়াবহ মাত্রায় কমিয়ে আনে। আর, সেটাই পরবর্তীকালে ডায়াবেটিসে রূপ নেয়। তাই সঠিক সময়ে পরিমিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতি বেলায় খাওয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করুন। ওজন কমাতে গিয়ে অনিয়ম করে অযথা নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও নিজেকে ফিট রাখুন।

Leave a Reply