শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

‘রক্তিম ভালবাসা’

images.jpeg-300x236

রক্তিম। ছোটবেলা থেকেই খুব লাজুক প্রকৃতির। কিছুদিন হল সে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করেছে। রক্তিম তখন দ্বিতীয় বর্ষে। ২০১০ সালের মাঝামাঝি কোন একদিন কোন এক কারণে একটি মেয়ের সাথে তার প্রথম দেখাই তাকে একদম ওলটপালট  করে দিল। ধীরে ধীরে মেয়েটার প্রতি সে কেমন জানি দুর্বল হয়ে পড়ল। প্রথম দেখাতেই তার মনের গহীনে জায়গা করে নিল মেয়েটি। সবসময় শুধু মেয়েটার কথা ভাবতে থাকে। মেয়েটার জন্য মন থেকে অদ্ভুত একটা টান অনুভব করে। এর আগে কখনো সে এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি। প্রেম-ভালবাসা সম্পর্কে তার তেমন কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। কোন অপরিচিত মেয়ের সাথে কথা পর্যন্ত বলতে পারত না। হাঁটু কাঁপা শুরু হয়ে যেত। আর সে কিনা একটি মেয়েকে ভালবাসতে শুরু করেছে! আসলে কোন মেয়ের সাথে দেখা, তার সাথে কথা বলার পর যদি মনের মনিকোঠায় স্থান করে নেয় নিবিড় টান, নিখুঁত ভালোবাসা নিজের অজান্তেই চলে আসে। সেই থেকেই মেয়েটার প্রতি তার দূর্বলতা ভালোবাসায় রূপ নেয়। কিন্তু প্রথম দিকে তার মনের কথা মেয়েটিকে ভালোলাগার কথা দূরে থাক, মেয়েটার সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত করতে পারে নি। যোগাযোগ করার কোন উপায় ছিল না। শুধু অন্তরে যতœ করে তার ভালবাসাকে পুষে রেখেছে। রক্তিম জানত না কখনো মেয়েটাকে তার মনের কথা বলতে পারবে কিনা। মেয়েটার কথা, চলাফেরা, হাসি সবসময় তার চোখের সামনে ভাসে। মেয়েটাকে দেখার পর থেকে শুধু তাকেই চেয়েছে। এরই মধ্যে ৪-৫ মাস কেটে গেল। মেয়েটি এখন পর্যন্ত কিছুই জানে না। মেয়েটির প্রতি রক্তিমের সুপ্ত ভালোবাসা গুপ্ত রেখে একাই মেয়েটাকে ভলোবেসে যাচ্ছে। রক্তিম তার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর কাছে সব খুলে বলে। বন্ধুটি মেয়েটিকে সব কিছু খুলে বলতে বলে। যা হোক আরো বেশ কিছুদিন পর অনেকটা কাকতালীয়ভাবে মেয়েটার সাথে রক্তিমের যোগাযোগ হয়। মেয়েটার প্রতি রক্তিমের ভালবাসা সত্যিই নিখুঁত ছিল। মন থেকেই চেয়েছিল তাকে। হয়তো তাই অনেক সময়ের পরে, অনেক অপেক্ষার পরে মনের মানুষটির সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়ে তার মনের কথা, তাকে ভালোলাগার কথাটি বলতে দেরি করেনি। অনেকটা তড়িঘড়ি করেই বলে ফেলেছে। মেয়েটা তাকে নির্লজ্জ ভাবতে পারে। নির্লজ্জ ভাবলেও রক্তিমের কিছুই করার ছিলনা। অনেক অপেক্ষার পরে তাকে পেয়ে পুনরায় তাকে হারাতে চায়নি। মনের কথাটি বলার পর মেয়েটি বিভিন্নভাবে রক্তিমকে জানার চেষ্টা করেছিল। রক্তিম পরীক্ষায় পাশ করেছিল। আর তাই হয়তো মেয়েটি তার ভালোবাসায় সাড়া দিয়েছিল। এখন তারা একে অন্যকে খুব ভালোবাসে। একে অন্যকে প্রচন্ড বিশ্বাস করে। তাদের ভালবাসাটা যেন পূর্ণতা পায় সবাই সেই দোয়াটি করবেন, প্লিজ। আর একটা কথা-আমিই “রক্তিম”। আমিই মেয়েটিকে ভলোবাসি। অনেক বলেছি, আজ আবার বলতে ইচ্ছে করছে – “আমি তোমাকে অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি, …

 

মোঃ শাহাদাত হোসেন                                                                        [email protected]

 

 

Leave a Reply